ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন দেশটিতে সফররত শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কেউ কেউ দেশে ফেরার আবেদনও করেছেন। তবে খেলোয়াড় ও সহকারী স্টাফদের কড়া সতর্কবার্তা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। কেউ নির্দেশ অমান্য করে দেশে ফিরে গেলে তার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়েরা এই শহরেই অবস্থান করছেন। আত্মঘাতী বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কা দলের অন্তত ৮ জন খেলোয়াড় দেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এ নিয়ে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্ট, এসএলসি ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলে।
এমন পরিস্থিতিতে সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে এক দিন করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, সংশোধিত সূচি অনুযায়ী ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ও ১৬ নভেম্বর। পূর্বের সূচিতে ১৩ ও ১৫ নভেম্বর ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে এসএলসি। বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যদি কোনো খেলোয়াড় বা স্টাফ সদস্য বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে দেশে ফেরে, তবে তাদের কর্মকাণ্ড মূল্যায়নে আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা চালানো হবে এবং পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এসএলসির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘ঘটনার পরপরই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আশ্বস্ত করেছে যে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে দলের প্রতিটি সদস্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। পরে শ্রীলঙ্কাই প্রথম দেশ হিসেবে আবার পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল। তখন থেকেই পাকিস্তানে চলছে ক্রিকেট।