সবশেষের দল হিসেবে এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের নাম ঘোষণা হয়। সেই মিল রেখেই যেন অনুশীলনেও সবার শেষে নামল তারা। গতকাল রাজধানীর পূর্বাচলে ক্রিকেটার্স একাডেমিতে অনুশীলন শুরু করে দলটি। দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে গতকাল অনুশীলন করা দলটিতে এখনো যোগ দেননি সৌম্য সরকার। পারিবারিক কারণে দেশের বাইরে থাকা সৌম্য বিপিএলের সিলেট পর্বে খেলবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে অন্য দেশি ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। পাশাপাশি সিলেটে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। মোহাম্মদ নবী, ইহসানউল্লাহ খানরা আছেন নোয়াখালী স্কোয়াডে। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলবে দলটি। বিপিএলে নিজেদের অভিষেক রঙিন করার স্বপ্ন নিয়েই নামছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
অভিজ্ঞ কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন থাকছেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দায়িত্বে। তার অধীনে খানিকটা তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছে নতুন দলটি। সেখানে আছে জাকের আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান, শাহাদাত হোসেন দিপু ও মুশফিক হাসানের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি সরাসরি চুক্তিতে জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিসের পাশাপাশি মোহাম্মদ নবী, মাজ সাদাকাতকে দলে নিয়েছে তারা। তাতে বোঝা যাচ্ছে, দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারের ভারসাম্য রেখেছে। সেই ভারসাম্যে ভর করে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে নবাগত দলটি।
দলটির বোলিং ইউনিটের নেতৃত্ব থাকবে লোকাল বয় হাসান মাহমুদের কাঁধে। এছাড়া মুশফিক হাসান, তরুণ আবু হাশিমরা থাকবেন পেস বোলিং অস্ত্র হিসেবে। স্পিন আক্রমণে থাকবেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। দলটির জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ অধিনায়ক কে হবে? প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, সৌম্য সরকারের কাঁধে উঠতে পারে অধিনায়কত্ব। তবে বিপিএলের সিলেট পর্ব মিস করতে যাওয়া সৌম্যর কাঁধে উঠবে না নেতৃত্বভার। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী পালন করতে পারেন অধিনায়কের দায়িত্বভার। তবে নবীকে পাওয়া যাবে না প্রথম তিন ম্যাচে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি-টোয়েন্টি শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর তার নোয়াখালী দলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ওপেনিংয়ে দেখা যাবে সম্প্রতি আলো ছড়ানো হাবিবুর রহমান সোহানকে। তার সঙ্গী হতে পারেন জনসন চার্লস কিংবা সাব্বির হোসেন। মিডল অর্ডারে জায়গা হবে কুশল মেন্ডিসের। তবে পুরো আসরে কুশল মেন্ডিসকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, বিপিএল চলাকালে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে লঙ্কান স্কোয়াডে ডাক পেতে পারেন তিনি। স্কোয়াডে ডাক পেলে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। তবে এখনই তা চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। অপেক্ষা করতে হবে শ্রীলঙ্কান স্কোয়াড ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত।
ফলে মিডল অর্ডার নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হচ্ছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্টকে। সেই চিন্তা থেকে হয়তো নতুন কাউকে দলে ভেড়াতে পারে দলটি। তবে সেই ঘোষণা কবে নাগাদ আসবে তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। আবার স্কোয়াডে থাকা দেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ওপরও রাখতে পারে ভরসা।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস স্কোয়াড
হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হাশিম, মুশফিক হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, রেজাউর রহমান রাজা, মেহেদি হাসান রানা, সৈকত আলী, সাব্বির হোসেন, ইহসানউল্লাহ, হায়দার আলি, মাজ সাদাকাত ও মোহাম্মদ নবী।