মামদানির জয়
আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানি। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তার এই বিজয় দেশটির ইহুদি ডেমোক্র্যাট ভোটারদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ, গতানুগতির ইহুদি ডেমোক্র্যাট ভোটার আর তরুণ প্রগতিশীল ভোটারদের মধ্যে গভীর বিভাজন তৈরি করবে, যা ইসরাইলের বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম ইহুদি অধ্যুষিত শহরটিতে রাজনীতিতে নতুন রূপ দিতে পারে।
৩৪ বছর বয়সি মামদানি নিউ ইয়র্কের সাবেক ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে সহজেই পরাজিত করেছেন, যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের কারণে মামদানির বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের মনোভাবের অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করেছেন।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ক্ষুব্ধ বহু ডেমোক্র্যাট ও তরুণ ইহুদি ভোটারদের সমর্থন পেয়েছেন মামদানি। গত বসন্তে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলনে প্রকাশ্য সমর্থন তার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করেছিল।
গত বছর পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৫ বছরের কম বয়সি ৫০ শতাংশ ইহুদি-আমেরিকান গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ পরিচালনার পক্ষে আর ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি ৬৮ শতাংশ ইহুদি এই যুদ্ধকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মেয়র সাধারণ নির্বাচনে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি ভোটার মামদানিকে সমর্থন করেছিলেন। এক্সিট পোল দেখিয়েছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে ইসরাইলপন্থি ভোটব্যাংকের জন্য এক ধাক্কা।