বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হলো সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিল। পক্ষে ২৩৪ ভোট আর বিপক্ষে পড়ে মাত্র চারটি ভোট। সংশোধনীর ফলে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়বে এবং সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা সীমিত হবে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পরে সংশোধনীটি আইনে পরিণত হবে। খবর জিও নিউজের।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বিলটি অনুমোদনের জন্য আইন প্রণেতাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশটির আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন।
বিলটিতে সংবিধানের আটটি সংশোধনী আনা হয়েছে। বুধবারের অধিবেশনে বিলটির বিরোধিতা করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ওয়াকআউট করে। তারা ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। কয়েকটি বিরোধী দল বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলে। বিরোধীরা বলছেন, এই পদক্ষেপ দেশের গণতন্ত্রের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর চার সদস্য, যারা একসময় ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, তারা সংশোধনীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
সংবিধান সংশোধনের ফলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো ছাড়াও সামরিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সেনাপ্রধান আসিম মুনির এখন প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের নতুন পদে উন্নীত হবেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীও সেনাপ্রধানের অধীনে থাকবে। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, তার পদমর্যাদা বজায় থাকবে।
সমালোচকরা বলছেন এই পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন জোটের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে।
এই সংশোধনীর ফলে সাংবিধানিক মামলাগুলো সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নতুন ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতে স্থানান্তরিত হবে, যার নিয়োগ করবে সরকার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি সরকারি নীতিমালা আটকে দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
আরএ