পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আবারো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। আন্তসীমান্ত সংঘর্ষের জন্য একে-অপরকে দায়ী করছে দুই দেশ। গত মাসে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল তুরস্কে আলোচনায় বসেছে। খবর আল জাজিরার।
চলমান এই আলোচনা গত ১৯ অক্টোবর কাতারে হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই সময়ের সংঘর্ষে উভয় দেশের সেনা সদস্যসহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয় এবং শতাধিক আহত হয়।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, কাবুল পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) এর মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বৃহস্পতিবারের হামলার বিষয়ে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলা হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন, যার মধ্যে চারজন নারী। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ছয়জন।’
আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘ইস্তাম্বুলে তৃতীয় দফা আলোচনা চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী স্পিন বোলদাক হামলা চালায়, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। আলোচনার প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং বেসামরিক ক্ষতি এড়াতে আফগান বাহিনী এখনো কোনো পাল্টা জবাব দেয়নি।’
অন্যদিকে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সীমান্ত এলাকায় আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগান পক্ষের দাবি সত্য নয়। আফগান দিক থেকেই প্রথমে গুলি চালানো হয়, যার জবাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সংযতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’
আরএ