অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৪ জন। নিহতদের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য। গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে হামলা চালায় ইসরাইল। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
গাজা উপত্যকার জনপ্রিয় একটি বাজারে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে পাঁচজনের। অনাহারে মৃত্যু হয়েছে আরো তিনজনের। এছাড়া নেতজারিম করিডোরের কাছে ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর হামলায় প্রাণ হারায় আরো চারজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সেনারা গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটির আরো গভীরভাবে ঢুকে পড়েছে। পুরো গাজা সিটি ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। ফলে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর আর কোথাও আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। এর মধ্যেই ইসরাইলি অবরোধে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব গাজা সিটির জেইতুন পাড়ায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় আরো ১২ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ১১ জন।
উত্তর-পশ্চিম গাজা উপত্যকার আল-তুয়াম জংশনের কাছে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলায় মারা যায় পাঁচজন ফিলিস্তিনিল।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহের দক্ষিণ-পূর্বে সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত লোকজনের ওপর ইসরাইলি গুলিবর্ষণে আরো চারজন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলের শেখ রিদওয়ান পাড়ার আল-থানি স্ট্রিটে ইসরাইলি হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গাজা শহরের পুরাতন শহরে একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নারী এবং তার মেয়ে নিহত হয়েছেন।
এছাড়া গাজা সিটিতে তেল আল-হাওয়ায় তাঁবুতে আঘাত হানার ফলে পাঁচ শিশু এবং এক নারীসহ একই পরিবারের সাত সদস্য নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, নেতজারিমের কাছে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা একজন ফিলিস্তিনি এবং দক্ষিণ গাজার মোরাগ এলাকায় আরো একজন নিহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরাইল গণহত্যা চালিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।
আরএ