হোম > বিশ্ব

মামদানির গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও নিউইয়র্ক সফরে অনড় নেতানিয়াহু

আমার দেশ অনলাইন

নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির হুমকি সত্ত্বেও তিনি শহরটি সফর করবেন। মামদানি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে তিনি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারেন।

এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক ফোরামে নেতানিয়াহুকে সফর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।”

মামদানির সঙ্গে কথা বলবেন কি না—এ প্রশ্নে নেতানিয়াহু বলেন, “যদি তিনি মত পরিবর্তন করে বলেন যে আমাদের অস্তিত্বের অধিকার আছে, তাহলে কথোপকথনের জন্য সেটাই ভালো শুরু হবে।”

জোহরান মামদানি—ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট, এবং নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র হতে চলেছেন—বহুবার বলেছেন যে তিনি ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকারের পক্ষে। তবে তিনি বলেন, ইসরাইলের "ইহুদি রাষ্ট্র হওয়ার অধিকার" বিষয়ে তিনি একমত নন, কারণ তার মতে কোনো দেশেই ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের শ্রেণিবিন্যাস থাকা উচিত নয়।

মামদানি আরও ঘোষণা করেছেন, আইসিসি যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে—সেই সব নেতাদের (যেমন নেতানিয়াহু বা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) গ্রেপ্তার করতে নিউইয়র্ক পুলিশকে নির্দেশ দেবেন।

আইসিসির অভিযোগ ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

গত বছর দ্য হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানে নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকতে পারেন বলে তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে।

ইসরাইল এসব অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। উল্লেখযোগ্য যে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া—তিন দেশই আইসিসির সদস্য নয়।

যদিও মামদানি গ্রেপ্তারের কথা বলেছেন, বাস্তবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত অসম্ভাব্য বলে অনেকেই মনে করছেন। তাছাড়া মেয়র হিসেবে তার এ ধরনের আইনি ক্ষমতা আছে কি না—তা নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে।

মার্কিন ফেডারেল সরকারের ভূমিকা

মার্কিন ফেডারেল সরকারই অভিবাসন ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলকে জোরালো সমর্থন দিয়ে এসেছে এবং আইসিসির বিচারক ও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।

নিউইয়র্কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইহুদি জনসংখ্যার একটি অংশ বসবাস করে। এখানেই জাতিসংঘের সদর দপ্তর অবস্থিত—যেখানে নেতানিয়াহু প্রতি বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেন।

জাতিসংঘের হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক জাতিসংঘ কার্যক্রমের জন্য বিদেশি প্রতিনিধিদের ভিসা দিতে হয়—যদিও ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকার করেছিল।

সূত্র: এএফপি

এসআর

রাশিয়া থেকে ইউক্রেনীয় শিশুদের অবিলম্বে ফেরত চাইলো জাতিসংঘ

রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তি ইউরোপের ভবিষ্যত গঠন করবে: তুরস্ক

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের ত্রাণ পাঠাতে ফের সীমান্ত খুলে দিলো পাকিস্তান

সেনাপ্রধানকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে কড়া বার্তা ইমরান খানের

জিডিপি বাড়লেও আইএমএফ রিপোর্টে ভারত ‘সি গ্রেড’

ভারতের ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনী–মাওবাদী সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ১৫

লন্ডনে ফিলিস্তিনি দূতাবাসে ইসরাইলপন্থিদের ভাঙচুর

এইচ-১বি ভিসা আবেদন কঠোর পর্যালোচনার নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের

গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হচ্ছে: ট্রাম্প

ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুমোদন দিলো রুশ পার্লামেন্ট