সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বর্তমানে সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রবাসী পাকিস্তানিদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভিসা অনুমোদন সীমিত করেছে ইউএই।
পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ক সিনেট কার্যকরী কমিটির এক বৈঠকে অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব সালমান চৌধুরী জানান, ইউএই কেবল নীল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা প্রদান করছে। এসময় তিনি সতর্কতার কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে তা প্রত্যাহার করা কঠিন হবে।
সিনেটর সামিনা মুমতাজ জেহরিও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউএই পাকিস্তানিদের ভ্রমণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার উদ্বেগের কারণে ভিসা অনুমোদন সীমিত করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘বেশ কিছু জটিলতার পর’ সীমিত সংখ্যক ভিসা চালু হয়েছে বলেও জানানো হয় কমিটিকে।
এদিকে, পাকিস্তানে ইউএই রাষ্ট্রদূত সালেম এম. সালেম আল বাওয়াব আল জাবি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিভিন্ন সংস্কার তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন ভিসা প্রক্রিয়াকরণ, পাসপোর্টে স্ট্যাম্প ছাড়াই ই-ভিসা, দ্রুত সিস্টেম-টু-সিস্টেম সংযোগ এবং নতুন ইউএই ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ভিসা প্রক্রিয়া।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিষয়ে জানানো হয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু ভিসা ‘অনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ’ করা হয়েছে। তখন তথ্যটি জানিয়েছিলেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রমোটার আইসাম বেগ। তবে তিনি এর সাথে আরো যুক্ত করে বলেছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আপত্তি ‘কর্ম ভিসা নয় বরং ভিজিট ভিসা’ থাকা প্রবাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে ভিজিট ভিসা নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি চালানোর অভিযোগের কথা বলেছিলেন তিনি।