কালমেগির আঘাত
ফিলিপাইনে বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমেগির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র। খবর বিবিসির।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনবহুল দ্বীপ সেবু। টাইফুনের প্রভাবে দ্বীপের সবগুলো শহর প্লাবিত হয়েছে। ৭১ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৮২ জন। আরো ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন চার লাখের বেশি মানুষ।
কালমেগি বৃহস্পতিবার সকালে ফিলিপাইন ছেড়ে মধ্য ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মার্কোস সাংবাদিকদের বলেন, টাইফুন কালমেগিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন তিনি।
ব্যাপক হতাহত, সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হয় ফিলিপাইনে।
দুর্যোগ ঘোষণা, সরকারি সংস্থাগুলোকে জরুরি তহবিল সংগ্রহ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা দ্রুত সরবরাহ করার ক্ষমতা দেয়।
ঝড়-বৃষ্টি থেমে গেলেও বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বাসিন্দারা।
মান্দাউ শহরে বসিন্দা জেল-আন মোইরা সার্ভাস বলেন, ‘এখন বৃষ্টি সম্পূর্ণ থেমে গেছে এবং রোদ উঠেছে। কিন্তু আমাদের ঘরগুলো এখনো কাদায় ভরা এবং ভিতরের সবকিছুই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমনকি জানি না কোথা থেকে পরিষ্কার শুরু করব। আমি কাঁদতে কাঁদতে দেখতেও পারছি না।’