হোম > বিশ্ব

নেতানিয়াহুকে মামদানির গ্রেপ্তারের ঘোষণা: আন্তর্জাতিক আইন কী বলে?

আমার দেশ অনলাইন

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র জোহরান মামদানি ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বারবার জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি নিউইয়র্কে প্রবেশ করেন, তিনি নিউইয়র্ক পুলিশকে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন। মামদানির যুক্তি, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আইসিসি অভিযোগে উল্লেখ করেছে, নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ক্ষুধা ব্যবহার এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর ক্ষেত্রে জড়িত। যদিও নেতানিয়াহু নিজে নিউইয়র্ক সফরের ঘোষণা দিয়েছেন এবং আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর করার বিষয়ে মামদানির মন্তব্যকে উপেক্ষা করেছেন।

আইসিসি কার্যকর করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের অবস্থান জটিল। উভয় দেশই ‘রোম স্ট্যাটিউট’-এর সদস্য নয়, ফলে আইসিসি সরাসরি তাদের নাগরিকদের ওপর বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না। তবে ফিলিস্তিনের যোগদানের পর আদালত প্রাক-বিচারিক চেম্বারের মাধ্যমে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের ওপর বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।

আইসিসি নিজস্ব কোনো গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়া চালাতে পারে না; এজন্য সদস্য রাষ্ট্রদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে আন্তর্জাতিক আইন ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ নীতি দেয়, যার আওতায় যেকোনো রাষ্ট্র গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বা জাতীয়তা নির্বিশেষে গ্রেপ্তার করতে পারে। এই নীতির ভিত্তিতে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন প্রভৃতি দেশ ইতোমধ্যেই উচ্চপদস্থ বিদেশি কর্মকর্তাদের বিচার করেছে।

ইসরাইলের ইতিহাসেও এই নীতি প্রয়োগের নজির রয়েছে। অ্যাডলফ ইচম্যানকে আর্জেন্টিনার বাইরে থেকে অপহরণ করে ইসরাইল বিচার করেছিল, যা ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’-র শক্তিশালী উদাহরণ। এমনকি চিলির স্বৈরশাসক পিনোশে ও গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উসমান সোনকোর ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক আদালতরা এই নীতির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থান তাকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দায়মুক্ত করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগে ফেডারেল অনুমোদনের প্রয়োজন থাকতে পারে, তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিবর্তনীয়।

নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানির ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারকে শক্তিশালী করা এবং দায়মুক্তির অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, এটি আইসিসি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার ইঙ্গিত বহন করছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

এসআর

ফাঁস হওয়া ভিডিওতে আসাদ: ঘৌতা জাহান্নামে যাক

তাইওয়ানে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন সৌদি যুবরাজ

ফাঁস হওয়া ভিডিওতে আসাদ: খাবার কিনতে পারে না মসজিদে ব্যয় করে

রাশিয়ায় কেমন জীবন কাটছে স্বৈরশাসক আসাদের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ‘গঠনমূলক কিন্তু কঠিন’: জেলেনস্কি

শান্তির জন্য ‘রাষ্ট্র বহির্ভূত’ শক্তির সাথেও সংলাপের আহ্বান কাতারের

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তোকে ইসলামাবাদে স্বাগত জানালেন শাহবাজ ও জারদারি

দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিতিশীল করছে ভারতের ‘নিউ নরমাল’ নীতি

ভারতের উস্কানিমূলক বক্তব্যের কড়া জবাব পাকিস্তানের