জাপানের উত্তর উপকূলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পরপরই ইওয়াতে প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় হালকা মাত্রার সুনামি দেখা দেয়। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যার দিকে এই ভূমিকম্প ও সুনামি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ)।
জেএমএ জানায়, বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে ইওয়াতের মিয়াকো এলাকায় প্রথম সুনামির আঘাত আসে। তবে ঢেউয়ের উচ্চতা এতটাই কম ছিল যে, তা পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। দুই মিনিট পর ওফুনাতো উপকূলে ১০ সেন্টিমিটার উচ্চতার আরেকটি ঢেউ আঘাত হানে।
এর আগে বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পরপরই এক মিটার উচ্চতার সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করে জেএমএ। অন্যদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।
জেএমএ আরও জানায়, মূল ভূমিকম্পের পর ৫ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার বেশ কয়েকটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে সমুদ্রের শান্ত দৃশ্য দেখা গেছে।
একই দিনে সকালেও একই অঞ্চলে অন্তত ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৮ এর মধ্যে। তবে সেগুলোর পর কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এই একই অঞ্চল ভয়াবহ ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন এবং ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের চারটি প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফলকের সংযোগস্থলে অবস্থিত। প্রতি বছর দেশটিতে গড়ে দেড় হাজারের বেশি ভূমিকম্প ঘটে, যার বেশিরভাগই হালকা বা মাঝারি মাত্রার হয়।
এএফপি
এসআর/