নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ায় ইসরাইলের রাজনৈতিক ও বিশ্লেষক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত মামদানির জয় ইসরাইল–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
মামদানি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইহুদি জনসংখ্যার শহর নিউইয়র্কে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় মূলত বাসস্থান ও শিশুসেবা–এর মতো স্থানীয় ইস্যুতে জোর দেন। তবে ইসরাইলে তাঁর গাজা যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করা এবং ইহুদি-অগ্রাধিকারমূলক নীতির সমালোচনা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা ও বিশ্লেষকেরা তাঁকে “ইসরাইলবিরোধী” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবুও তিনি শহরের প্রায় ৩০ শতাংশ ইহুদি ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন এবং নির্বাচনের পর বলেছেন যে তিনি ইহুদিবিদ্বেষের (অ্যান্টিসেমিটিজম) বিরুদ্ধে লড়াই করবেন এবং ইহুদি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
ইসরাইলের কিছু মহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মামদানির নিয়ন্ত্রণাধীন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের নীতিতে শহরের ইহুদি সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। ইসরাইলের জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র–ইসরাইল সম্পর্ক এখনো মজবুত।
অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিরা মামদানির জয়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফিলিস্তিনি প্রশ্নে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতিফলন, যার মধ্যে তরুণ ইহুদি আমেরিকানরাও অন্তর্ভুক্ত।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মামদানির এই ঐতিহাসিক জয় মার্কিন রাজনীতিতে একটি প্রজন্মগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে—যেখানে তরুণ ভোটাররা আগের প্রজন্মের তুলনায় কম একপাক্ষিকভাবে ইসরাইলপন্থী।
এসআর/এপি