অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে বোরকা পরে প্রতিবাদ করার ঘটনাকে “বোরকার প্রতি স্পষ্ট অসম্মান” ও মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে “উপহাসমূলক আচরণ” বলে আখ্যা দিয়ে দেশটির সিনেটর পলিন হ্যানসনকে এক সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার অভিবাসনবিরোধী ওয়ান নেশন পার্টির এই কুইন্সল্যান্ড সিনেটর জনসমক্ষে পুরো মুখ ঢেকে রাখার পোশাক নিষিদ্ধের দাবিতে বোরকা পরে সিনেটে প্রবেশ করেন। অন্যান্য আইনপ্রণেতারা তাকে বিল উত্থাপন করতে বাধা দিলে তিনি বোরকা পরে আবারও কক্ষে ফিরে আসেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
গ্রিনসের মুসলিম সিনেটর মেহরিন ফারুকী হ্যানসনের পদক্ষেপকে “স্পষ্ট বর্ণবাদ” হিসেবে বর্ণনা করেন। স্বাধীন সিনেটর ফাতিমা পেম্যান ঘটনাটিকে “অপমানজনক” বলে অভিহিত করেন। সিনেটে সরকারের নেতা পেনি ওং নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, হ্যানসন ‘‘কয়েক দশক ধরে প্রতিবাদ হিসেবে কুসংস্কার প্রচার করে আসছেন’’।
৫৫–৫ ভোটে পাস হওয়া এই নিন্দা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় যে হ্যানসনের কর্মকাণ্ড “ধর্মীয় ভিত্তিতে মানুষকে উপহাস ও অপমান করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত” এবং “মুসলিম অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি গভীর অসম্মানজনক।”
এর আগে, ২০১৭ সালেও তিনি সংসদে বোরকা পরে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছিলেন। ২০১৬ সালে সিনেটে তার প্রথম বক্তৃতায় তিনি দাবি করেন যে অস্ট্রেলিয়া “মুসলমানদের দ্বারা জলাবদ্ধ” হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে—যা ১৯৯৬ সালে তার আরেক বিতর্কিত বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি, যেখানে তিনি “এশীয়দের দ্বারা জলাবদ্ধ” হওয়ার সতর্কতা দিয়েছিলেন।