যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশ এই তহবিলের আওতায় থাকবে। তবে মার্কিন প্রশাসন সতর্ক করে জানিয়েছে, “ছোট হও, খাও—নাহলে বিলুপ্ত হও,” যা সংস্থাগুলোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে বৈদেশিক সহায়তা কমিয়ে নতুন আর্থিক বাস্তবতায় পরিচালনার অংশ। যদিও পূর্ববর্তী বরাদ্দের তুলনায় ২ বিলিয়ন ডলার কম, প্রশাসন এটিকে উদার অনুদান হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক দাতা হিসেবে ধরে রাখবে।
অর্থটি একটি ‘আমব্রেলা ফান্ড’–এর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে, যা নির্দিষ্ট সংস্থা ও অগ্রাধিকারভিত্তিক খাতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে এই পদ্ধতি অনেক মানবিক কর্মসূচিতে বড় ধরনের কাটছাঁট এবং উদ্বেগ তৈরি করেছে।
প্রাথমিকভাবে এই তহবিল পাবে বাংলাদেশ, কঙ্গো, হাইতি, সিরিয়া, ইউক্রেনসহ মোট ১৭টি দেশ। আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড তালিকায় নেই; ফিলিস্তিনের জন্য সহায়তা আসবে ট্রাম্পের অসম্পূর্ণ গাজা শান্তি পরিকল্পনার মাধ্যমে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২ বিলিয়ন ডলার সাম্প্রতিক বছরের প্রচলিত মানবিক সহায়তার খুব সামান্য অংশ। এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১৭ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দিত, যার মধ্যে ৮–১০ বিলিয়ন ছিল স্বেচ্ছা অনুদান।
বিশ্বজুড়ে সমালোচকেরা মনে করছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমানোর ফলে লাখো মানুষ ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুতি ও রোগের ঝুঁকিতে পড়ছে, যা আন্তর্জাতিক প্রভাবও কমাতে পারে।
এসআর