মালয়েশিয়ায় সেলায়াং বারুতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৮৪৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এদেরমধ্যে ৭৯ জন বাংলাদেশের নাগরিক। মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যে এ অভিযান চালানো হয়। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের।
শনিবার রাত ৮টার দিকে সেলাঙ্গর রাজ্য নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়ে শুরু হওয়া এ অভিযানে মোট ১,১১৬ জনের নথিপত্র পরীক্ষা করে ৮৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যার মধ্যে ৩৫ জন নারী।
গ্রেফতারকৃতদের নাগরিকত্বের তালিকায় রয়েছে- মিয়ানমারের ৬৪৭, নেপালের ১০২, বাংলাদেশের ৭৯, ইন্দোনেশিয়ার ১৫ ও ভারতের ১০ জন।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সেলাঙ্গরের মেন্তরি বেসার দাতুক সেরি আমিরুদ্দিন শারি।
রোববার কসমো অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় পরিসরের এ অভিযানে যুক্ত ছিল অভিবাসন বিভাগ, রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ, শ্রম বিভাগ, জাতীয় মাদক বিরোধী সংস্থা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থা।
গ্রেফতারকৃতদের বয়স ২১ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে পরিচয়পত্রহীনতা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় অবস্থান এবং অবৈধ কার্ড ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন- অভিবাসন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) দাতুক লোকমান এফেন্দি রামলি, সেলাঙ্গর পুলিশ প্রধান দাতুক শাজেলি কাহার এবং সেলাঙ্গর অভিবাসন পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামারুদ্দিন।
আমিরুদ্দিন শারি জানান, এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের আধিক্য এবং অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে জনঅভিযোগ পাওয়ার পর কঠোর এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, স্থানীয় নিয়োগকর্তাদের অবৈধ অভিবাসী নিয়োগ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আইন না মানলে মালিক-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, এর আগে সেরি মুদা ও সেলাঙ্গর হোলসেল মার্কেট এলাকাতেও অনুরূপ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মেন্তরি বেসার বলেন, কম খরচে ভাড়া পাওয়া ও কুয়ালালামপুর নিকটবর্তী হওয়ায় অনেক বিদেশি সেলায়াং বারুতে বসবাসে আগ্রহী হয়। তবে অবৈধ অবস্থান বা আইন ভঙ্গের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
অভিযান চলবে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এবং এন্টি ট্র্যাফিকিং অ্যান্ড স্মাগলিং অফ মাইগ্র্যান্টস অ্যাক্ট ২০০৭–এর আওতায়।
মেন্তরি বেসার সবাইকে সতর্ক করে বলেন, অবৈধ অভিবাসীকে লুকানো বা আশ্রয় দেওয়া অপরাধ, এর দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নোয়া হবে।