গত বছর ১২ লাখ মানুষেরও বেশি মানুষ মারা গেছে যক্ষায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র প্রতিবেদন অনুসারে যক্ষ্মা এখনো বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রামক রোগ। আর এই সংক্রামক রোগটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রভাবিত করছে আরো প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ মানুষের জীবন।
২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, যক্ষ্মা সংক্রমণ প্রায় ২% কমেছে আর মৃত্যু কমেছে ৩%, যা কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পুনরুদ্ধারের প্রতিফলন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সময়ের মধ্যে ১০০ টিরও বেশি দেশ যক্ষ্মা সংক্রমণের হার কমপক্ষে ২০% হ্রাস পেয়েছে এবং ৬৫টি দেশ যক্ষ্মা-সম্পর্কিত মৃত্যুর হার ৩৫% বা তার বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবুও, ২০২৪ সালে ৩০টি দেশে ৮৭% নতুন যক্ষ্মা রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে। দেশগুলোর মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন সহ আটটি দেশের রোগীর সংখ্যা বিশ্বব্যাপী রোগীর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি।
২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে , ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘বহু বছরের বিপর্যয়ের পরেও বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা রোগের হ্রাস এবং পরীক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক সুরক্ষা এবং গবেষণায় অগ্রগতি এগুলো সবই ভালো সংবাদ, তবে অগ্রগতি কোনও বিজয় নয়। প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও, প্রতি বছর দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে এই সত্যটি অযৌক্তিক।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর গ্লোবাল টিউবারকুলোসিস রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা রোগ এবং মৃত্যু আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। তবে তহবিল স্বল্পতা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাব এই অগ্রগতিকে যেকোনো সময়ই ধ্বংস করে দিতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি।।