দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপ। চীন ও পাকিস্তানের যৌথ প্রভাব মোকাবিলায় ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’ সেনাদের হাতে তুলে দিতে চলেছে। দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের এই সাফল্য শুধু ভারতের সামরিক শক্তি বাড়াবে না, বরং আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যেও প্রভাব ফেলবে।
বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানায়, ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা’ (ডিআরডিও)-র তৈরি হালকা ট্যাঙ্ক জোরাবরে তাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘নাগ’ ক্ষেপণাস্ত্র বসানো ও তার কার্যকারিতার পরীক্ষার চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে আসন্ন শীতেই ভারতীয় সেনাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ট্যাঙ্ক জোরাবরকে।
লাদাখ ও গুজরাটের দুর্গম অঞ্চলে সফলভাবে পরীক্ষা পাস করেছে ‘জোরাবর’। পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধের উপযোগী করে তৈরি এই হালকা ট্যাঙ্ক ভারী রুশ ট্যাঙ্কগুলোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সংঘর্ষের পর থেকেই হালকা ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় ভারতের।
ভারতের এই উদ্যোগ ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নীতির বড় উদাহরণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ভারতের এই সামরিক আধুনিকায়ন দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পাকিস্তান ও চীন উভয়ই তাদের সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে পারে, যা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে।