দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন ইউক্রেন। বিপর্যস্ত অর্থনীতি আর ক্লান্ত যুদ্ধবাহিনী নিয়ে পরাশক্তি রাশিয়ার সাথে মোকাবিলার চতুর্থ বছরে প্রবেশ করেছে জেলেনস্কির সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে তেমন কোনো সমর্থন না পাওয়ার পর ইউরোপেরও সরাসরি সমর্থন পাচ্ছে না দেশটি।
এমন সময়ে ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইউক্রেণের বেঁচে থাকা এর মিত্রদের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সৌদি আরবের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়া এ খবর দিয়েছে।
সংবাদে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্রদের কাছে জব্দ থাকা রাশিয়ান সম্পদের ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে বলেন।
তিনি জানান, মস্কোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতির জন্য নতুন তহবিলের খুবই প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আশা করি, ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমরা এই সিদ্ধান্ত নেব। অন্যথায়, আমাদের একটি বিকল্প বের করতে হবে, কেননা এটি আমাদের বেঁচে থাকার প্রশ্ন। এ বিষয়ে আমি আমার অংশীদারদের ওপর নির্ভর করি।’
এর আগে জব্দ থাকা রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে ইইউ। এর বিপরীতে ইইউ ইউক্রেনকে ১৪০ বিলিয়ন ইউরো বা ১৬২ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের বিষয়টিও এখন স্থগিত রয়েছে। যার কারণে, আগামী বছরের শুরুতে নতুন তহবিল প্রয়োজন ইউক্রেনের।
ইতোমধ্যে রাশিয়া ধীরে ধীরে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে এবং শীতের মাসগুলি এগিয়ে আসার সাথে সাথে তার অর্থনীতিকে দুর্বল করার জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণ করছে।
গত সপ্তাহেই ইইউ অর্থনীতি কমিশনার ভালদিস ডম্ব্রোভস্কিস ইউক্রেনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, কিয়েভকে নতুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সহায়তা আনলক করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য তহবিলের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।