আরো জিম্মি ও বন্দির লাশ বিনিময় করেছে হামাস ও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তবে হামাস বলছে, মিশরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করতে অস্বীকৃতি এবং গাজায় হামলা অব্যাহত রেখে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার গভীর রাতে আরো দুই ইসরাইলি জিম্মির লাশ ইসরাইলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সেনা এবং অন্যজন বেসামরিক নাগরিক।
তাদের লাশ শনাক্ত করে নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে ইসরাইল। এরা হলেন, আরিয়েহ জালমানোভিচ (৮৫) এবং সেনাবাহিনীর মাস্টার সার্জেন্ট তামির আদার (৩৮)।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের লাশ গ্রহণ করে ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস সবমিলিয়ে ১৫ জন জিম্মির লাশ হস্তান্তর করেছে।
আনুমানিক আরো ১৩ লাশ ইসরাইলে ফেরত পাঠানো হবে। তবে হামাস বলছে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং গাজার কিছু অংশে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত নিয়ন্ত্রণ লাশ উদ্ধারের গতি কমিয়ে দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির শুরুতে একদিনে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার ইসরাইলি আটক অবস্থায় নিহত ১৫ ফিলিস্তিনির লাশ গাজায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের শনাক্তের জন্য নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, ইসরাইল প্রায় দুই হাজার জীবিত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। আরো ৩৬০ জনের লাশ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরএ