ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে মার্কিন বাহিনী কর্তৃক আটক তেলবাহী ট্যাংকারকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে নিয়ে আসা হবে বলে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে প্রকাশ্য সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। খবর এএফপি’র।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম জানান, নাটকীয় এক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ট্যাংকারটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। হেলিকপ্টার থেকে দড়ি বেয়ে নামার মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী জাহাজে প্রবেশ করে। নোয়েম বলেন, এই অভিযান ভেনেজুয়েলার বামপন্থী নেতা নিকোলাস মাদুরোর শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন গত কয়েক মাস ধরে ভেনেজুয়েলার ওপর চাপ বাড়িয়ে আসছে। অঞ্চলটিতে মোতায়েন করা হয়েছে বড় মাত্রার নৌবাহিনী এবং কথিত মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন নিহত হয়েছে।
এরই মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোনে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানালেও ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় রাশিয়ার সহায়তা করার সক্ষমতা সীমিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, আটক করা জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে আনা হবে এবং সেটিতে থাকা তেল বাজেয়াপ্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ওয়াশিংটনের। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ জাহাজগুলোকে সমুদ্রে অবাধে চলতে দেওয়া হবে না, কারণ কালোবাজারি তেলের অর্থ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অবৈধ শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
তার ভাষায়, “আমরা কালোবাজারি তেল বহনকারী নিষিদ্ধ জাহাজগুলোকে সমুদ্রে চলতে দেব না। কারণ এই আয় বিশ্বজুড়ে দুর্বৃত্ত ও অবৈধ শাসকদের মাদক ও সন্ত্রাসবাদকে ইন্ধন দেয়।”
এসআর