মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার অধীনে বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কূটনৈতিক পরামর্শ জোরদার করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার জানিয়েছেন, গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্ক ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
গাজার বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক কাঠামোর অধীনে মানবিক ত্রাণ, যুদ্ধবিরতি স্থায়িত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার উপায় নিয়ে মিত্র দেশগুলো, বিশেষ করে তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত পাকিস্তান।
রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থার দাবিতে তুরস্ক আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার।
একই দিনে দার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গেও কথা বলেছেন। পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে, দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পর্যালোচনা করেছেন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের ওপর মতামত বিনিময় করেছেন।
পাকিস্তান জানিয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সেনা পাঠোনোর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে হামাসকে নিরস্ত্র করতে বা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কোনো বাহিনীর অংশ হবে না পাকিস্তান।
১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে জেরুজালেমকে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি ইসলামাবাদের সমর্থন অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
আরএ