আফগানিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে ২০২১ সালে। দুই দশক ধরে চলা, এই যুদ্ধের কারণে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে দেশ দুটির মধ্যে, তবে এমন সম্পর্ক থেকে উত্তরণ চায় ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নই এখন তাদের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার টোলোনিউজের সাথে আলাপকালে আফগানিস্তানের সরকারের মুখপাত্র ও তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জবিউল্লাহ মুজাহিদ এমনটি জানিয়েছেন।
মুজাহিদ বলেন, “আমরা আমেরিকা সহ সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ককে সমর্থন করি, এই সম্পর্কের গড়ে উঠবে দুটি বৈশিষ্ট্যকে ঘিরে আর তা হচ্ছে: কূটনীতি এবং বাণিজ্য। এই ক্ষেত্রে, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বদা এই ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের সাথে জড়িত থাকার জন্য উৎসাহিত করছি।”
এসময় মুজাহিদ বাগরাম বিমানঘাঁটি সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন: “তারা মাঝে মাঝে বাগরাম বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমরা তাদের বলেছিলাম: বাগরামের পরিবর্তে, কাবুলে তাদের উচিত দূতাবাস পুনরায় চালু। কূটনৈতিক এই চ্যানেলটি চালুর মাধ্যমে, আফগানিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সঠিক ও বৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।”
কাবুল-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আমিন করিম তার মন্তব্যে বলেন: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে অনেকে দোটানায় আছে কেউ সমর্থন করছেন এবং কেউ আবার সিদ্ধান্তহীনতায় আছে। সামনের দিনগুলিতে আফগানিস্তানের উপর মার্কিন দীর্ঘমেয়াদী নীতিই তা স্পষ্ট করে দিবে।
যদিও বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারবার আফগানিস্তান থেকে দেশটির সেনা প্রত্যাহারের নিয়ে সমালোচনা করেছেন, তবুও আফগানিস্তান সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়।