লেবানন সরকার দেশের ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলো নিরস্ত্র করার পদক্ষেপ নেওয়ার পর দেশটিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, এই উদ্যোগ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত ও দীর্ঘদিনের সমান্তরাল সশস্ত্র কাঠামো ভাঙার অংশ। তবে ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো মনে করছে, এটি তাদের প্রতিরোধ দুর্বল করার পরিকল্পনা।
আগস্টে ফাতাহ সাতটি শিবিরের অস্ত্র লেবাননের সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিয়েছে। দলটি বিশ্বাস করে, এইভাবে অস্ত্রের বদলে শরণার্থীদের অধিকার আদায় সম্ভব হবে। অন্যদিকে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলো এই অভিযানকে “শরণার্থী শিবির খালি করার ষড়যন্ত্র” হিসেবে দেখছে।
লেবাননের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ফাতাহসহ সব ফিলিস্তিনি দলকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আওতায় আনা হবে। তারা দাবি করেন, ‘অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আর পিছু হটার সুযোগ নেই।’ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ফাতাহের এই সিদ্ধান্ত হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণের দাবিকেও জোরদার করবে, কারণ তারাও এতদিন ফিলিস্তিনের মুক্তির অজুহাতে অস্ত্র ধরে রেখেছে।
তবে হামাস সতর্ক করে বলেছে, নিরস্ত্রীকরণের নামে শিবিরগুলো বন্ধের চেষ্টা হলে তা প্রতিরোধ করা হবে। তাদের দাবি, ‘শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা লেবাননের নিজস্ব নিরাপত্তার অংশ।’
লেবাননে বর্তমানে ১২টি ফিলিস্তিনি শিবিরে প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার শরণার্থী বাস করে। সরকার সম্প্রতি তাদের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে কাজের অধিকার, শিক্ষার সুযোগ ও বসতবাড়ি পুনর্গঠন।
সূত্র: নিউ আরব