মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান “হুমকি”র প্রতিবাদ জানাতে এবং প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানাতে ভেনেজুয়েলাজুড়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার রাজধানী কারাকাসে “লিবারেটর সিমন বলিভারের পতাকা ও তরবারি মিছিল”-এ বিপুল জনসমাগম দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা বিশাল ভেনেজুয়েলান পতাকা ও মাদুরোর ছবি হাতে নিয়ে করাকাসের রাস্তাজুড়ে শোভাযাত্রা করেন এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সমাবেশের নিন্দা জানান। অংশগ্রহণকারীরা এটিকে “হুমকি ও আগ্রাসন” বলে আখ্যা দেয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
পুলিশ, সেনা সদস্য, মিলিশিয়া বাহিনী এবং সাধারণ নাগরিকদের বিশাল অংশগ্রহণে আয়োজকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য যেকোনো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিতেই এই মিছিলের আয়োজন।
মিছিলে অংশ নেওয়া মন্ত্রী দিওসদাদো কাবেলো বলেন ভেনেজুয়েলাবাসী “প্রতিদিন আরও ঐক্যবদ্ধ” হয়ে উঠছে এবং তারা স্বাধীনতা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি সতর্ক করে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে সাম্রাজ্যবাদের হুমকি এবং যারা নিজেদের বিশ্বের মালিক মনে করে তাদের হামলা বেড়েছে। তাদের লক্ষ্য হলো ভেনেজুয়েলার প্রাকৃতিক সম্পদ দখল করা।”
মিছিলটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়, যখন যুক্তরাষ্ট্র কার্টেল দে লোস সোলেস–কে একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এ নেটওয়ার্কটি মাদুরো ও শীর্ষ ভেনেজুয়েলান কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত। ভেনেজুয়েলা সরকার এ পদক্ষেপকে “হস্তক্ষেপের অজুহাত তৈরির চেষ্টা” বলে অভিযুক্ত করে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড–কে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে মোতায়েন করেছে, যা তারা আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ বলে দাবি করছে।
মার্কিন পদক্ষেপের জবাবে প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘোষণা করেছেন যে দেশজুড়ে ৪.৫ মিলিয়ন মিলিশিয়া সদস্যকে প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা “যেকোনো হামলা প্রতিহত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
এই মিছিল দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারের কঠোর অবস্থান ও জনগণের সমর্থনকে আরও স্পষ্ট করেছে।
এসআর