নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। ২০২৫ সালের ৪ নভেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রিও কুওমো এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ী হন মামদানি। এই ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন আগামী বছরের ১ জানুয়ারি। তাকে শপথ পাঠ করাবেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। একইদিন দুপুরে বামপন্থি আইকন এবং ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সিটি হলের বাইরে একটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তিনি।
মামদানির শপথকে ভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিংকন মিচেল। তিনি বলেছেন, নববর্ষের উৎসবের মধ্যে একটি বার্তা প্রতিফলিত হচ্ছে যে, এটি একটি বড় শহর এবং আমরা সবাই এর সঙ্গে বসবাস করছি।
মামদানির নির্বাচনি ইশতেহার ভিন্ন বার্তা দিয়েছে নগরবাসীকে। নির্বাচনি প্রচারে তিনি ৮.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার মহানগরীতে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন। তার মূল প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল ১০ লাখেরও বেশি অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থগিত করা, বাড়ির মালিককে জবাবদিহির আওতায় আনা, দুই লাখ সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ইউনিট নির্মাণ করা, স্বল্প খরচে চাইল্ড কেয়ার সুবিধা, সরকারি মালিকানাধীন সুপার মার্কেট এবং বিনামূল্যে বসবাস। তবে বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রশাসন বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ পরিচালনাকারী সিটি বোর্ড বাড়ি ভাড়া স্থির রাখার বিষয়টি মানবে কি নাÑতা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে মামদানির জন্য একটি বাড়তি সুবিধা হলো ডেমোক্র্যাট গভর্নর ক্যাথি হোকুলের সঙ্গে তার চমৎকার সম্পর্ক। এক্ষেত্রে তিনি কর সুবিধার বিষয়টির সুন্দর সুরাহা করতে পারবেন।
এদিকে বিপরীত প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও নভেম্বরের শেষদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে সাক্ষাৎ করেন নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। তাদের বৈঠকটি ছিল সৌহার্দপূর্ণ ও শান্ত। মামদানিকে সহায়তার আশ্বাসও দেন ট্রাম্প। ৩৪ বছর বয়সি মামদানি নিউ ইয়র্ক সিটির সবচেয়ে কম বয়সি মেয়রদের একজন। তার রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্ত ছোট হলেও স্টেট অ্যাসেম্বলির মেম্বার হিসেবে নিউ ইয়র্কে দায়িত্ব পালন করেছেন।