ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান একথা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে তুরস্কে সেখানে সেনা মোতায়েন করবে বলেও জানান তিনি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম এ হ্যাবারকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফিদান বলেন, ‘তুরস্ক গাজার দায়িত্ব কাঁধে নিতে প্রস্তুত। সেনা পাঠানোসহ কর্তব্যবোধের সঙ্গে তাদের সকল দায়িত্ব পালন করবে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটিই আমাদের স্পষ্ট বার্তা।’
ফিদান বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা ইস্যুতে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে এখনো বিতর্ক হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় বর্ণিত দুটি কাঠামোর মধ্যে একটি।
গাজায় ‘শান্তি বোর্ড’ এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য প্রাথমিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, যার মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে মার্কিন-সমন্বিত বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্র (সিএমসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজার উন্নয়ন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসরাইলে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড প্রতিষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক অপারেশনাল প্ল্যাটফর্ম।
ফিদান আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতি সমন্বয় করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে তুরস্ক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরএ