নিজের মত প্রকাশে সবসময়ই খোলামেলা মাহিরা খান। ফাওয়াদ খানের সঙ্গে তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্র নীলোফার প্রচারের একপর্যায়ে মে মাসে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার সময় অনুভূত আবেগ ও অবস্থান সম্পর্কে আবারও কথা বলেন এ অভিনেত্রী। ভারতে তার অসংখ্য ভক্ত থাকা সত্ত্বেও নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা অটুট—এ কথাই জোর দিয়ে জানান তিনি।
হাম নিউজ-এ এক সাক্ষাৎকারে মাহিরা বলেন, “আমার ভক্তরা সর্বত্র আছে, ভারতেও আছে। কিন্তু আমার মনে হয় তারাও বুঝবে যে নিজের দেশ মানে নিজের দেশই। এটাই আমার ঘর। ওটা খুব আবেগের মুহূর্ত ছিল। নিজের স্বার্থ দেখার কোনও প্রশ্নই ছিল না। ঠিকঠাক ভেবেও লিখিনি, মনে থেকে লিখেছি। সাধারণত এসব বিষয়ে বলি না, কিন্তু তখন চুপ থাকা সম্ভব ছিল না।” খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
তিনি আরও বলেন, তাঁর কথায় ভারতীয় ভক্তদের কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তাতে তিনি দুঃখিত, কিন্তু তাঁর সমালোচনা ছিল সরকার ও নীতির বিরুদ্ধে—মানুষের বিরুদ্ধে নয়।
মে মাসে মাহিরা ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, তিনি এমন একটি দেশে থাকেন যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি লেখেন, “নিজ দেশে অন্যায় দেখলে আমরা কথা বলি। যেখানেই সহিংসতা হোক, আমরা নিন্দা করি—যদিও প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয়।”
পোস্টে তিনি ভারতের “যুদ্ধ ও ঘৃণার ভাষ্য”-র কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, ভারতীয় গণমাধ্যম বিভাজনকে আরও উসকে দেয় এবং “গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের” বিরুদ্ধে প্রভাবশালী কণ্ঠগুলো ভয়ে নীরব থাকে। সেই নীরবতাকে তিনি “সবচেয়ে বড় পরাজয়” বলে উল্লেখ করেন। মধ্যরাতে শহরে হামলা চালিয়ে তাকে বিজয় বলা—তা নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
তখনও মাহিরা নিজের দেশের প্রতি অকৃত্রিম সমর্থন জানিয়েছিলেন: “আমার পাকিস্তান, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমরা যেন সঠিকটা করি। আমরা যেন কখনও সেই পর্যায়ে না নামি— এই জঘন্য উস্কানির পরেও। আমিন। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।”
এসআর