ফিলিস্তিনের গাজা স্ট্রিপের দেইর আল-বালাহর একটি মাঠে এই সপ্তাহে জমায়েত হন বছরের পর বছর যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত অ্যাম্পিউটি (অঙ্গচ্ছিন্ন) ফুটবল খেলোয়াড়রা। তারা ক্রাচ ব্যবহার করে খেলাকে পরিণত করেন আনন্দ, পরিচয় ও প্রতিরোধের এক উৎসে।
চার দিনের হোপ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড়রা, যাদের অনেকেই ২০১৮-১৯ সালের বিক্ষোভ বা ২০২৩ সালের যুদ্ধের সময় অঙ্গ হারিয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে প্রায় ৬০,০০০ মানুষ অঙ্গচ্ছিন্ন হয়েছেন। খবর ডেইলি সাবাহ।
মাদি নওসরা বলেন, “পা হারিয়েছি, তবুও ফুটবল খেলাই আমার জীবন।” অন্যদিকে ফারাহ যোগ করেন, “আমি খেলতে এসেছি যেন আগের মতো ফিরে আসতে পারি। বার্তা স্পষ্ট: হাল ছেড়ো না।”
টুর্নামেন্টটি প্যালেস্টাইন অ্যাম্পিউটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত। জাতীয় দল ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু সীমান্ত বন্ধের কারণে তারা অংশ নিতে পারেনি। দলের কোচ ক্যাপ্টেন আলি আবু আরমানাহ বলেন, “আমরা এই চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে হারানো আশা ফিরিয়ে আনতে চাই।”
প্রতিটি খেলোয়াড়ের গল্পই প্রমাণ করে, ধ্বংসের মাঝেও ফুটবল তাদের জন্য কেবল খেলা নয়, বরং জীবনের নতুন সম্ভাবনার প্রতীক।
এসআর