ফিলিপাইনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জন মারা গেছে। মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, হাজারো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে স্থলভাগে আঘাত হানার পর থেকে কালমেগি কিছুটা দুর্বল হয়েছে। তবুও এটি এখনো ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস ও ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়া নিয়ে মধ্যাঞ্চলীয় ভিসায়াস দ্বীপপুঞ্জ পেরিয়ে উত্তর পালাওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।
দেশটির সেবু প্রদেশে নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । প্রাদেশিক তথ্য কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলিজ ওরং জানান, ৩৯ জন সেবুতে এবং ১ জন বোহোল দ্বীপে মারা গেছেন। তিনি বলেন, “অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে, এখনও কিছু মানুষ নিখোঁজ বা আটকে আছেন। মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনাই ডুবে যাওয়া ও ধসে পড়া ধ্বংসাবশেষের কারণে।”
হাজার হাজার মানুষকে ভিসায়াস, দক্ষিণ লুজন ও উত্তর মিন্দানাও অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত নাগাদ সেবু সিটিতে বন্যার পানি কিছুটা নেমে গেলেও বহু এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ফিলিপাইন রেড ক্রস প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা হাঁটুসমান পানির মধ্যে নৌকা ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করছেন। লিলোয়ান শহরে বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে, শুধু ছাদ বা উপরের তলা দেখা যাচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, কালমেগির সঙ্গে একটি শিয়ার লাইন যুক্ত হয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি করছে।
এর ফলে মঙ্গলবার ১৮০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে নিকটবর্তী নিরাপদ বন্দরে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন