বৃহস্পতিবার সকালে পোপ লিও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ভ্যাটিকানে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাৎ ছিল তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এর আগে তারা কেবল টেলিফোনে কথা বলেছিলেন।
স্থানীয় নিউজ পোর্টাল ভ্যাটিকান নিউজ জানায় আলোচনায় গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণের জন্য “জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা” নিয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
ভ্যাটিকানের হোলি সি প্রেস অফিস এক বিবৃতিতে বৈঠকটিকে “সৌহার্দ্যপূর্ণ” বলে বর্ণনা করে জানিয়েছে, আলোচনায় গাজার মানবিক সংকট ছাড়াও “দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে সংঘাতের অবসান” নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে রোমে পৌঁছানোর পর প্রেসিডেন্ট আব্বাস প্রথমেই যান সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকা-তে, প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের কবরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আব্বাস বলেন, “আমি পোপ ফ্রান্সিসের কবর জিয়ারত করতে এসেছি, কারণ আমি কখনও ভুলব না তিনি ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য যা করেছেন। তিনি বিনা অনুরোধে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন — সেটি আমার কাছে আজও অবিস্মরণীয়।”
মিশরীয় ফ্রান্সিসকান সন্ন্যাসী ইব্রাহিম ফালতাসের সঙ্গে আব্বাস প্রায় পনের মিনিট সময় কাটান কবরের পাশে। তিনি সাদা মার্বেলের সমাধিফলকে ফুলের তোড়া অর্পণ করেন, যেখানে খোদাই করা আছে শুধু একটি শব্দ
এই সফরটি একইসঙ্গে চিহ্নিত করছে ২০১৫ সালের ২৬ জুন স্বাক্ষরিত “হোলি সি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মধ্যকার সমন্বিত চুক্তি”র দশম বার্ষিকী।
চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ ফিলিস্তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছিল। এতে জেরুজালেমের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে — যা ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম, সবার কাছেই পবিত্র।
এসআর