রাশিয়া সোমবার দাবি করেছে যে তারা পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্ক দখল করেছে। এই দাবি সত্য প্রমাণিত হলে এটি রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হবে। তবে ইউক্রেন মস্কোর এই দাবিকে কেবল “কথিত ঘোষণা” হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে, যা যুদ্ধ শেষ করার আলোচনায় প্রভাব বিস্তার করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মস্কোর এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। পোকরোভস্ক নিয়ন্ত্রণ করতে মাস ধরে ভারী লড়াই চলছিল। রাশিয়ার আক্রমণে বহু সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
ইউক্রেন সরাসরি মন্তব্য না করলেও, ইউক্রেনীয় কাউন্টার-ডিসইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান আন্দ্রি কোভালেঙ্কো সতর্ক করেছেন, “পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাব বাড়াতে এ ধরণের কল্পনাপ্রবণ ঘোষণা জুড়ে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা করবে।”
ইউক্রেনীয় সেনারা সোমবার জানিয়েছে, “কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও পোকরোভস্ক ও আশেপাশের এলাকায় ইউক্রেনীয় সৈন্যরা শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত অব্যাহত রেখেছে।”
পুতিনের ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একদিন আগে ফ্রন্টলাইন সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানিয়েছেন যে পোকরোভস্ক রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ক্লেরেমিনের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ান সেনারা শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে রাশিয়ার পতাকা উত্তোলন করছেন। তবে শহরের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল, এবং দক্ষিণ থেকে ধীরে ধীরে শহরে আগাচ্ছিলেন রাশিয়ান সেনারা।
শহরের কৌশলগত গুরুত্ব
পোকরোভস্ককে দীর্ঘদিন ইউক্রেনীয়রা গুরুত্বপূর্ণ মনে করত, কারণ শহরটির সড়ক ও রেল সংযোগ ছিল। তবে রোড ও রেল লাইনের ধ্বংসাত্মক ড্রোন ও আর্টিলারি হামলার কারণে কিয়েভ বিকল্প সরবরাহ রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে, ফলে শহরের কৌশলগত গুরুত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
পুতিন তার সেনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, পোকরোভস্কে সফলতা “যুদ্ধের সকল লক্ষ্য অর্জনের পথে স্থায়ী অগ্রগতি নিশ্চিত করবে।”
এসআর