নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২

উপজেলা প্রতিনিধি, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাত আহমেদ (২৬) ও তার সহযোগী লিমান মিয়াকে (২০) একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন এবং সাত রাউন্ড গুলিসহ আজ (সোমবার ১০ নভেম্বর) ভোররাতে জেলার নবীনগর উপজেলার থোল্লাকান্দি এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর এলাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের মোস্তাক আহমেদের ছেলে এবং লিমান একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। বিকেলে র‌্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এ সব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. নূরনবী।

কমান্ডার মো. নূরনবী জানান, খুনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত রিফাতের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। বেশিরভাগ মামলা ডাকাতির। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরেই শিপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। তাকে তার মামার বাড়ি উজানচরের খোসকান্দি এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে সহযোগী লিমানকে নবীনগর উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর লিমানের তথ্যমতে তার ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন এবং সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়ার সময় ওই ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩৮)কে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিফাত। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হলে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিপন মারা যায় এবং রেস্তোরাঁর কর্মচারী নবীনগর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন (২০) সোমবার (০৩ নভেম্বর) ভোরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন নূর আলম ও এমরান মাস্টার নামে আরও একজন। পুলিশ জানায়, শিপন এবং রিফাত দুইজনই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ডাকাত বাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত