Ad T1

৯৯৯ এ মেয়ের ফোন: ‘বাবাকে হত্যা করেছি ধরে নিয়ে যান’

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৬: ১১

সাভারে নিজের বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে মেয়ে জানায়, আমি আমার বাবাকে হত্যা করেছি আমাকে ধরে নিয়ে যান। পরে মেয়ের কাছ থেকে লোকেশন পেয়ে পুলিশ মেয়েকে গ্রেপ্তার করে। জব্দ করা হয় হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি।

ঘটনাটি ঘটেছে সাভার পেরৗ এলাকার মজিদপুরের কাঠাল বাগান মহল্লার আবদুল কাদেরের মালিকানাধীন নূর মোহাম্মদ ভিলার ৫ম তলার ফ্লাটে। ওই ফ্ল্যাটে বাবা-মেয়ে দুজনেই বসবাস করতেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

নিহত আব্দুর সাত্তার (৫৬) নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে । হত্যাকারী মেয়ে জান্নাত জাহান শিফা (২৩) ।

সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুর রশিদ জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করে এক মেয়ে জানান, আমি আমার পিতাকে হত্যা করেছি আমাকে ধরে নিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত আব্দুর সাত্তারের লাশ উদ্ধার করে এবং মেয়ে জান্নাত জাহান শিফাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

বাড়ির কেয়ারটেকার রহিজ উদ্দিন বলেন, গত ৫ মাস আগে বাবা ও মেয়ে ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তবে তাদের ফ্ল্যাটে কি হয় না হয় আমরা কিছুই জানতাম না।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, গত ২০২২ সালে সিংড়া থানার পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ছিলো মেয়ে জান্নাত। সেই মামলায় পিতা আব্দুর সাত্তার বেশ কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। জামিনে বের হয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে মেয়ের সাথে আবার বসবাস শুরু করেন সাভারে। সেই মামলার সূত্র ধরেই পিতার সাথে মেয়ে জান্নাতের বনিবনা হচ্ছিল না। মেয়েকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। অবশেষে বুধবার দিবাগত রাতে ভাতের সাথে ২০ টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে রাতে পিতাকে খেতে দেয়। পরে তার পিতা ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের দিকে জান্নাত ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানায়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানায়, ফ্লাটে বাবা-মেয়ে দুজনে বসবাস করতো। জান্নাতের মায়ের সাথে তার বাবার কোন সম্পর্ক ছিল না। জান্নাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছোঁড়া জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়:

সাভার
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত