স্টাফ রিপোর্টার, (ঢাকা দক্ষিণ)
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে শিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়।
এলাকাবাসী জানান, ধলেশ্বরী সেতুর টোল প্লাজার পাশে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাতভর তাণ্ডব চালায় ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল। তারা অস্ত্রের মুখে পাওয়ারপ্লান্টের ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ ও মালামাল লুট করেছে। ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেরানীগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস লিমিটেডের।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইনচার্জ কবির জানান, শিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মীসহ ১০ জন কর্মচারীকে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে।
তিনি জানান, পরে প্ল্যান্টে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও জিম্মি করে একটি ভবনে আটকে রাখে। এরপর রাতভর বিদ্যুৎকেন্দ্রে লুটপাট চালায় ডাকাতরা। এ সময় প্ল্যান্টের ভেতরে থাকা কয়েকটি কন্টেইনার থেকে মূল্যবান ক্যাবল ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ লুট করেছে তারা। অফিস রুম থেকে বিভিন্ন উপকরণ, ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
তিনি আরও জানান, তিনটি বড় ট্রাকে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ, ক্যাবল, ল্যাপটপ, মনিটর, ব্যাটারি, মুঠোফোন লুট করা হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মালামাল ট্রাকভর্তি করে নেয়ার পর ডাকাতরা প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
পাওয়ার প্যাকের সিকিউরিটি গার্ড তামিম জানায়, শুক্রবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে গেটের সামনে কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক হাত বেঁধে ফেলে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
তামিম বলেন, “আমি গেটের ভেতরে দুই ভাগে ছয়জনকে দেখতে পাই, যাদের বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে।”
প্ল্যান্টের কর্মী করম আলী বলেন, “আমরা ভেতরে ১০ জন দায়িত্বে ছিলাম। ডাকাতরা খুঁজে খুঁজে আমাদের ধরে আনে, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং সিসিটিভির এক্সেস জানতে চায়।”
অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট একরামূল হক জানান, তার রুমে ঢুকে পড়া ৩/৪ জনকে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই স্থানে আঘাত করা হয়।
তিনি বলেন, “কমপক্ষে তিনজনের কাছে পিস্তল ছিল, কথা বললেই তারা শরীরে আঘাত করছিল।”
স্টাফ আবু নাইম বলেন, রাত ১২টার পর তিনটি বড় ট্রাকে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ, ক্যাবল, ল্যাপটপ, মনিটর, ব্যাটারি ইত্যাদি লুট করা হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মালামাল ট্রাকভর্তি করে নেয়ার পর ডাকাতরা প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
প্ল্যান্ট ইনচার্জ কবির জানান, ঘটনার সময় ভেতরে সিকিউরিটি গার্ডসহ ১০ জন কর্মী ছিলেন। শনিবার স্থানীয় থানা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রধান কার্যালয়ের হিসাবের পর লুট হওয়া মালামালের সঠিক মূল্য জানা যাবে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর বাহিরে এই বিষয়ে এখন মন্তব্য করার কিছু নাই। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আটক নেই বলে তিনি জানান।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে শিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়।
এলাকাবাসী জানান, ধলেশ্বরী সেতুর টোল প্লাজার পাশে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাতভর তাণ্ডব চালায় ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল। তারা অস্ত্রের মুখে পাওয়ারপ্লান্টের ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ ও মালামাল লুট করেছে। ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেরানীগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস লিমিটেডের।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইনচার্জ কবির জানান, শিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মীসহ ১০ জন কর্মচারীকে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে।
তিনি জানান, পরে প্ল্যান্টে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও জিম্মি করে একটি ভবনে আটকে রাখে। এরপর রাতভর বিদ্যুৎকেন্দ্রে লুটপাট চালায় ডাকাতরা। এ সময় প্ল্যান্টের ভেতরে থাকা কয়েকটি কন্টেইনার থেকে মূল্যবান ক্যাবল ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ লুট করেছে তারা। অফিস রুম থেকে বিভিন্ন উপকরণ, ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
তিনি আরও জানান, তিনটি বড় ট্রাকে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ, ক্যাবল, ল্যাপটপ, মনিটর, ব্যাটারি, মুঠোফোন লুট করা হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মালামাল ট্রাকভর্তি করে নেয়ার পর ডাকাতরা প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
পাওয়ার প্যাকের সিকিউরিটি গার্ড তামিম জানায়, শুক্রবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে গেটের সামনে কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক হাত বেঁধে ফেলে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
তামিম বলেন, “আমি গেটের ভেতরে দুই ভাগে ছয়জনকে দেখতে পাই, যাদের বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে।”
প্ল্যান্টের কর্মী করম আলী বলেন, “আমরা ভেতরে ১০ জন দায়িত্বে ছিলাম। ডাকাতরা খুঁজে খুঁজে আমাদের ধরে আনে, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং সিসিটিভির এক্সেস জানতে চায়।”
অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট একরামূল হক জানান, তার রুমে ঢুকে পড়া ৩/৪ জনকে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই স্থানে আঘাত করা হয়।
তিনি বলেন, “কমপক্ষে তিনজনের কাছে পিস্তল ছিল, কথা বললেই তারা শরীরে আঘাত করছিল।”
স্টাফ আবু নাইম বলেন, রাত ১২টার পর তিনটি বড় ট্রাকে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ, ক্যাবল, ল্যাপটপ, মনিটর, ব্যাটারি ইত্যাদি লুট করা হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মালামাল ট্রাকভর্তি করে নেয়ার পর ডাকাতরা প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
প্ল্যান্ট ইনচার্জ কবির জানান, ঘটনার সময় ভেতরে সিকিউরিটি গার্ডসহ ১০ জন কর্মী ছিলেন। শনিবার স্থানীয় থানা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রধান কার্যালয়ের হিসাবের পর লুট হওয়া মালামালের সঠিক মূল্য জানা যাবে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর বাহিরে এই বিষয়ে এখন মন্তব্য করার কিছু নাই। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আটক নেই বলে তিনি জানান।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে