ঝিনাইদহ- ২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদকে ধানের শীষের প্রার্থী না দিলে ভোট না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সনাতনী ৫৭ হাজার ভোটার। বুধবার দুপুরে জেলা শহরে একটি রেস্টুরেন্টে নির্বাচনি এলাকার ১১০টি পূজামন্দির কমিটিসহ চারটি সনাতনী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব প্রহল্লাদ সরকার, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মলিন কুমার ঘোষ, সদস্য সচিব সমীর কুমার হালদারসহ প্রবীন সনাতনী ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ শুষেন কুমার ভৌমিক, বিমল কুমার ঘোষাল এবং সাধান কুমার ঘোষ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ- ২ আসনে এমএ মজিদকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিত করা। এই দাবি পূরণ না হলে ৫৭ হাজার ভোটার ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪ এরপর থেকে ঝিনাইদহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ। এই সময়ে সনাতনী সম্প্রদায় ঝিনাইদহ- ২ নির্বাচনি এলাকায় নির্ভয়ে ও নিরাপদে বসবাস করছে। এমনকি বিগত দুই বছরের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, দুর্গাপূজা, কোনো প্রকার আতঙ্ক ছাড়াই অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ সনাতনীদের ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সকল কার্যক্রমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেখভাল নিশ্চিত করেছেন। তার আন্তরিক সহযোগিতা ও সহায়তা সনাতনী সমাজের লোকদের মাঝে একটা আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়েছে এই কারণেই তাকে সনাতনীদের রক্ষক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

