Ad T1

খালি হাতে ফেরা সেই সুবিধাভোগীরা পেলেন গরু

উপজেলা প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ১৬: ৩৮

অনিয়মের অভিযোগে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জনগণের তোপের মুখে বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত হওয়া গরু একমাস পর বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে ৭০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীর মধ্যে বকনা (বাছুর গরু) বিতরণ করা হয়।

বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, মেজর শেখ আরমান ইবনে ইদ্রিস, ইউএনও মো. ইসাহাক আলী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান, ভেটেরিনারি সার্জন সজীব হাওলাদার, থানার ওসি একেএম খন্দকার মুহিব্বুল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা নবীউল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল গরু বিতরণকালে শর্তানুযায়ী গরু সরবরাহ না করায় প্রতিবাদের মুখে গরু বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। বিষয়টি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনা চলে। অবশেষে শর্তপূরণ করে হৃষ্টপুষ্ট বকনা সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল।

জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৭০ জন সুফলভোগীর মধ্যে গরু বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। টেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি গরুর ওজন ১০০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও গড়ে প্রতিটি গরুর ওজন ৬৫-৭০ কেজি পাওয়া যায়।

টেন্ডার অনুযায়ী গরুর ওজন ও বয়স ঠিক না থাকায় স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে ইউএনও মো. ইসাহাক আলী বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে গরুগুলো ফেরত নিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানতে চাইলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কামাল পাশা বলেন, আগের গরুগুলো কেনার সময় ব্যবসায়ীরা ওজনে কম দিয়েছিল। তাই সেগুলো ফেরত দিয়ে নতুন করে গরু নেয়া হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান বলেন, আগের গরুগুলোর ওজন কম থাকায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিতরণ স্থগিত করা হয়েছিল। এবার বিতরণের আগে গরুগুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৯০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত গরু বাছাই করা হয়েছে। ৭টি ইউনিয়নের সুফলভোগীর মধ্যে গরুর সঙ্গে সুষম খাদ্য ও ফ্লোর ম্যাট বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে চারটি করে টিন এবং খুঁটি দেয়া হবে।

বিষয়:

দিনাজপুর
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত