Ad T1

মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১২: ৩৯
আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১৩: ৫৫

ইভটিজিংয়ের সালিশকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মামলার ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিমের আদালত রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– রনি বেপারী, সৌরভ প্রধান এবং শিহাব প্রধান। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান এবং ছোট জাহাঙ্গীর।

আসামিদের মধ্যে শিহাব, শাকিব ও শামীম আপন তিন ভাই বলে জানান ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. বিল্লাল হোসেন।

এদিকে মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি ও নিহত মিন্টুর স্ত্রী খালেদা আক্তার। তিনি বলেন, রায়ে ন্যায়বিচার পাইনি। স্বামী হত্যার বিচারের জন্য প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো। যতদিন বেঁচে আছি ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়ে রাষ্ট্র ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

রাষ্ট্র পক্ষে প্রসিকিউটর বিল্লাল হোসেন রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, রায়ে ১০ আসামি খালাস পেয়েছেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। রায়ে বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, রায়ে ন্যায় বিচার পাইনি। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মামলায় অভিযোগে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় ইভটিজিং নিয়ে দুইদল কিশোর ও তরুণের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সমস্যা মেটাতে সেদিন রাতে দুই পক্ষকে সালিশে ডাকা হয়।

সেখানে সৌরভ, শিহাব ও শামীমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে অপরপক্ষ। এ ঘটনায় নিহত মিন্টুর স্ত্রী খালেদা আক্তার ২৬ মার্চ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা দায়ের হওয়ার চার বছর পর ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন বিচারক। বিচার চলাকালে এ মামলায় ২৮ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত