মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ গ্রেপ্তার চারজন রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫৯

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক চার জনকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মোঃ মিনহাজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ এবং মাহফুজ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কারাগারে আটক চারজনকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক কে. এম. তারিকুল ইসলাম।

রাষ্ট্র পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক বিজয় তাদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

চলতি বছরের ৫ জুলাই মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধামে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার-প্ররোচণা চালিয়ে আসছিল।

আসামিরা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেদেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন। পরে সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা প্রদান করতো।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত