‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা কেন ঝুঁকিপূর্ণ’, জবির পাঠচক্রে ভাবনা

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জবি শাখার উদ্যোগে ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা কেন ঝুঁকিপূর্ণ?’ শীর্ষক এক পাঠচক্রে এসব প্রশ্ন ও মতামত উঠে আসে।

পাঠচক্রটি পরিচালনা করেন জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ। এতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, জবি শাখার সভাপতি ইভান তাহসীব এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পাঠচক্রে কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, “ডিপি ওয়ার্ল্ডকে নিউ মুরিং টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেবল অর্থনৈতিক নয়—এটি জাতীয় স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়। রাষ্ট্রের উচিত নিজেদের সক্ষমতা গড়ে তুলে বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নিজেরাই পরিচালনা করা। এমন একটি সিদ্ধান্ত কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়ার এখতিয়ার নেই। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রতিহত করতে হবে।”

তিনি জানান, এই ইজারা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৭ ও ২৮ জুন ‘বন্দর-কোরিডরবিরোধী রোড মার্চ’ অনুষ্ঠিত হবে এবং সবার অংশগ্রহণ কাম্য।

জবি শাখার সভাপতি ইভান তাহসীব বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর। এর নিউ মুরিং টার্মিনাল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই জায়গায় বিদেশি কোম্পানির প্রবেশ শুধু অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত দিক দিয়েও বড় হুমকি। ডিপি ওয়ার্ল্ডের অতীত রেকর্ড খুব একটা স্বচ্ছ নয়, তাদের ওপর আস্থা রাখা কঠিন।”

তিনি আরও বলেন, একটি লাভজনক বন্দর হঠাৎ করে ইজারার প্রশ্নে কেন আসছে? এই সিদ্ধান্তে আসলে কার স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

আলোচনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ঘিরে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের যেসব ঘাটতি আছে, তা মূলত প্রাকৃতিক—নদীর নাব্যতা, জোয়ার-ভাটা ইত্যাদি। এসব বিদেশি কোনো কোম্পানির পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।তাহলে কেন এমন একটি কোম্পানিকে এখানে ইজারা দেওয়া হচ্ছে, তা পরিষ্কার নয়।