ফাহমিদুর রহমান ফাহিম, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়ছেন ফাহিম রেজা। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। সম্প্রতি আমার দেশকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার নিয়ে কথা বলেছেন এই জিএস প্রার্থী।
ফাহিম রেজা বলেন, ক্যাম্পাসে আসার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। এর আগে স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে কাজ করেছি। সেখান থেকে এবার বৃহৎ পরিসরে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে প্রার্থী হয়েছি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর গণইফতারের সময় ছাত্রলীগ আমাদের এক ভাইকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় আমরা প্রক্টরকে জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করি। তখন আমাদের প্রশ্ন করা হয়Ñআমরা কি রাকসুর ভিপি বা জিএস? সে জায়গা থেকেই আমার জিএস পদে নির্বাচনের চিন্তা শুরু হয়। কারণ জিএস পদে দায়িত্বের পরিধি বেশি, শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার সুযোগও বেশি।
ছাত্রশিবিরের প্যানেলে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ফাহিম বলেন, প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এর পেছনে কিছু কারণ আছে। আমার বিভাগে পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি, একই সঙ্গে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। ফলে আমার সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল এবং শিবিরের সঙ্গে থাকলে সে সুযোগ পাওয়া সহজ হবে বলে আমার মনে হয়েছিল। পাশাপাশি আন্দোলন-পরবর্তী সময় থেকে ছাত্রশিবির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছে এবং জুলাই ইস্যুতেও সক্রিয় ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করায় তাদের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। তাই তারা আমাকে প্যানেলে ডাকলে রাজি হয়ে যাই।
ফাহিম বলেন, ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কাজ করতে এখনো কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি; বরং আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং ভালো ফলাফল আসবে বলে আশাবাদী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা নিয়ে ফাহিম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাসন। প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও মাত্র ৩৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসনের সুযোগ পাচ্ছে। রাজনৈতিক ও অনিচ্ছার কারণে এ সমস্যা থেকে গেছে। তাই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার হবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ আবাসন নিশ্চিত করা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি লাইব্রেরিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা, পাঠের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং চিকিৎসাকেন্দ্রকে আরো কার্যকর করা। এছাড়া আমরা শিগগির শিক্ষার্থীদের সামনে ৩৬ দফা ইশতেহার উপস্থাপন করব।
রাকসু নির্বাচনে ডাকসু ও জাকসুর প্রভাব নিয়ে ছাত্রশিবির প্যানেলের এই জিএস প্রার্থী বলেন, ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের প্রতিদ্বন্দ্বী যারা ছিলেন তারা নির্বাচন বয়কট করেছিলেন। তাই আমরা চাইব শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচন বয়কট না করে পরাজয়কে মেনে নিতে। ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের প্যানেল যে বড় জয় পেয়েছিল, আমরা সে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।
ফাহিম বলেন, নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয় সেজন্য আমরা দাবি জানিয়েছি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করার। আমরা এগুলো নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করছি একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে।
নির্বাচিত না হলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবেন কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রনেতা ফাহিম বলেন, এর আগে যে কাজগুলো করেছি, তখন তো আমি রাকসুর কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলাম না। যদি নির্বাচিত না হই তাহলে একটি প্রেশার গ্রুপ হয়ে কাজ করব। এছাড়া রাকসুকে জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করে যাব।
নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং তার আগেও ছাত্রলীগকে মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। সেখান থেকেই আমাদের ওপর শিক্ষার্থীদের আস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। তারা তাদের কথাগুলো আমাদের বলছে এবং আমাদের কথা শুনছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আমাদের গ্রহণ করছে। আশা করছি এ উচ্ছ্বাস দিয়ে ২৫ তারিখ তারা আমাদের জয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়ছেন ফাহিম রেজা। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। সম্প্রতি আমার দেশকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার নিয়ে কথা বলেছেন এই জিএস প্রার্থী।
ফাহিম রেজা বলেন, ক্যাম্পাসে আসার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। এর আগে স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে কাজ করেছি। সেখান থেকে এবার বৃহৎ পরিসরে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে প্রার্থী হয়েছি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর গণইফতারের সময় ছাত্রলীগ আমাদের এক ভাইকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় আমরা প্রক্টরকে জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করি। তখন আমাদের প্রশ্ন করা হয়Ñআমরা কি রাকসুর ভিপি বা জিএস? সে জায়গা থেকেই আমার জিএস পদে নির্বাচনের চিন্তা শুরু হয়। কারণ জিএস পদে দায়িত্বের পরিধি বেশি, শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার সুযোগও বেশি।
ছাত্রশিবিরের প্যানেলে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ফাহিম বলেন, প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এর পেছনে কিছু কারণ আছে। আমার বিভাগে পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি, একই সঙ্গে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। ফলে আমার সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল এবং শিবিরের সঙ্গে থাকলে সে সুযোগ পাওয়া সহজ হবে বলে আমার মনে হয়েছিল। পাশাপাশি আন্দোলন-পরবর্তী সময় থেকে ছাত্রশিবির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছে এবং জুলাই ইস্যুতেও সক্রিয় ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করায় তাদের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। তাই তারা আমাকে প্যানেলে ডাকলে রাজি হয়ে যাই।
ফাহিম বলেন, ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কাজ করতে এখনো কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি; বরং আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং ভালো ফলাফল আসবে বলে আশাবাদী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা নিয়ে ফাহিম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাসন। প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও মাত্র ৩৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসনের সুযোগ পাচ্ছে। রাজনৈতিক ও অনিচ্ছার কারণে এ সমস্যা থেকে গেছে। তাই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার হবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ আবাসন নিশ্চিত করা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি লাইব্রেরিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা, পাঠের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং চিকিৎসাকেন্দ্রকে আরো কার্যকর করা। এছাড়া আমরা শিগগির শিক্ষার্থীদের সামনে ৩৬ দফা ইশতেহার উপস্থাপন করব।
রাকসু নির্বাচনে ডাকসু ও জাকসুর প্রভাব নিয়ে ছাত্রশিবির প্যানেলের এই জিএস প্রার্থী বলেন, ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের প্রতিদ্বন্দ্বী যারা ছিলেন তারা নির্বাচন বয়কট করেছিলেন। তাই আমরা চাইব শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচন বয়কট না করে পরাজয়কে মেনে নিতে। ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের প্যানেল যে বড় জয় পেয়েছিল, আমরা সে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।
ফাহিম বলেন, নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয় সেজন্য আমরা দাবি জানিয়েছি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করার। আমরা এগুলো নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করছি একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে।
নির্বাচিত না হলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবেন কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রনেতা ফাহিম বলেন, এর আগে যে কাজগুলো করেছি, তখন তো আমি রাকসুর কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলাম না। যদি নির্বাচিত না হই তাহলে একটি প্রেশার গ্রুপ হয়ে কাজ করব। এছাড়া রাকসুকে জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করে যাব।
নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং তার আগেও ছাত্রলীগকে মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। সেখান থেকেই আমাদের ওপর শিক্ষার্থীদের আস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। তারা তাদের কথাগুলো আমাদের বলছে এবং আমাদের কথা শুনছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আমাদের গ্রহণ করছে। আশা করছি এ উচ্ছ্বাস দিয়ে ২৫ তারিখ তারা আমাদের জয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে