বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫
অধ্যাপক ড. শেখ নাজমুল হুদা
আত্মহত্যা আজকের পৃথিবীতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। বাংলাদেশে প্রতি ৩০ মিনিটে অন্তত একজন মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। সে হিসেবে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় আট লাখ মানুষ এবং বাংলাদেশে ২০০০০ জন আত্মহত্যার শিকার হয়। আত্মহত্যা পৃথিবীতে সবসময়, সব সমাজে, নারী-পুরুষভেদে হয়ে থাকে। যদিও স্থানভেদে আত্মহত্যার পদ্ধতি এবং অন্যান্য নিয়ামকের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন—সামষ্টিকভাবে বিশ্বে পুরুষরাই বেশি আত্মহত্যা করে থাকে, যা কি না নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। বলে রাখছি, বিশ্বে নারীরা অধিকসংখ্যায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিন্তু সফল হয় কম।
পৃথিবীতে ১ শতাংশ মৃত্যু হয় আত্মহত্যার মাধ্যমে। কৈশোর থেকে বার্ধক্য সব বয়সের মানুষই আত্মহত্যা করতে পারে। তবে চল্লিশোর্ধ্বদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আশঙ্কার বিষয়, বিশ্বে আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ৫০ বছরে আত্মহত্যায় মৃত্যু দেড়গুণ হয়েছে। আত্মহত্যা শুধু ধনী দেশগুলোর সমস্যা নয়। বরং দেখা যায় পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়। ৫৮ শতাংশ আত্মহত্যাকারীর বয়স সাধারণত ৫০ বছরের নিচে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশেও একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীর মোট আত্মহত্যারকারীর প্রায় দুই শতাংশ বাংলাদেশের। বাংলাদেশে আত্মহত্যার তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১১ সালে বাংলাদেশে ১৯৯৬৭ জন আত্মহত্যা করেছিল। বাংলাদেশে সম্ভবত নারীরা অধিকসংখ্যায় আত্মহত্যা করে থাকে। শারীরিক এবং পারিবারিক সহিংসতা নারীদের আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। নারীদের সামাজিক অবস্থান, শিক্ষার অভাব ও পুরুষদের ওপর নির্ভরতাকেও তাদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতার নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক বিষয় চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো আত্মহত্যার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি কারণ হলো—
১. মানসিক রোগের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ।
২. ব্যক্তি জীবনে সংকটময় পরিস্থিতি ৩১ শতাংশ।
৩. একান্ত সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা ২৭ শতাংশ।
৪. শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ২১ শতাংশ।
৫. মদ ১৮ শতাংশ।
৬. মাদক ১০ শতাংশ।
এখন প্রশ্ন হলো—আত্মহত্যা কি প্রতিরোধ করা সম্ভব? কীভাবে কমানো যায় এই আত্মহত্যার মহামারি। আত্মহত্যা মহাপাপ—পৃথিবীর প্রায় সব ধর্ম সেই কথা বলে। কোন কোন দেশ আত্মহত্যার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনপ্রণয়ন করেছে। আত্মহত্যা তবু বেড়েই চলেছে। ধর্মের বাণী এবং আইনি পদক্ষেপ অবশ্যই আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করবে। তবে মৃত্যুর এই মহামারি রুখতে আরো কিছু করা খুবই প্রয়োজন। আত্মহত্যা প্রতিরোধের বিষয়গুলো অনেকগুলো নিরিখে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ব্যক্তি পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ : জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে জানুন। সমস্যার কাছে হেরে যাবেন না। আত্মহত্যার চিন্তাভাবনার ধরন, লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জানুন। সমাধানের জন্য সাহায্য নিন।
অন্যের সাহায্য নিন : প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। সাহায্য নিন। আত্মহত্যার চেষ্টা যারা করে তাদের মধ্যে কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ থাকতে পারে, খেয়াল রাখুন, ব্যবস্থা নিন।
সহায়তা দিন : আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা করুন। যেমন হেল্পলাইনের নম্বর দিন, বই পড়তে উৎসাহিত করুন, বিনোদনে যুক্ত করুন। প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন।
সামাজিক পর্যায়ে : স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সমাজকর্মীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রচেষ্টা থাকতে পারে। যেমন—হেল্পলাইন পরিচালনা, কাউন্সিল, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ইত্যাদি।
জাতীয় পর্যায়ে : আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য একটি জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন আত্মহত্যাপ্রবণতা বাড়ায়—এমন সমস্যাগুলোর জন্য সেবার সম্প্রসারণ। যেমন : মানসিক রোগী ও Neuro deplomental desorder-এর রোগীদের আরো অধিকহারে ধারাবাহিক, মানসম্পন্ন ও ব্যয়সাশ্রয়ী সেবার আওতায় আনা। নারীর প্রতি শারীরিক ও পারিবারিক সহিংসতা কমানো। কার্যকরভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ। আত্মহত্যার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণে প্রাপ্তি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ (ঘুমের বড়ি, কীটনাশক, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি ইত্যাদি)।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার : আজ সমাজের বহু সমস্যা সমাধানে তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো ব্যাপক ব্যবহারের চেষ্টা করা যায়। আমি যখন ল্যাপটপে আত্মহত্যা সম্পর্কিত তথ্যানুসন্ধান করেছিলাম, তখন পর্দায় বারবার ভেসে উঠছিল বিভিন্ন হেল্পলাইনের নম্বর, যেগুলো মূলত আমেরিকার নম্বর। এ ক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশে যেখান থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে, সে জায়গার নম্বর চলে আসে, তাহলে সেটি হবে আরো কার্যকর। হেল্পলাইনের বাইরেও মুঠোফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেন্দ্রিক আরো কৌশল আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজে লাগানো সম্ভব। আত্মহত্যার ব্যাপকতা ও ক্রমবর্ধমান প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’। প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর এই দিবস পালিত হয়ে থাকে। এ বছর দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো—‘আশা জাগায়, কার্যকর উপায়’। আত্মহত্যা প্রতিরোধ ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, স্বাস্থ্যকর্মী ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। সবার চেষ্টায় আত্মহত্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
লেখক : পাবলিক হেলথ সায়েন্স
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস
আত্মহত্যা আজকের পৃথিবীতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। বাংলাদেশে প্রতি ৩০ মিনিটে অন্তত একজন মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। সে হিসেবে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় আট লাখ মানুষ এবং বাংলাদেশে ২০০০০ জন আত্মহত্যার শিকার হয়। আত্মহত্যা পৃথিবীতে সবসময়, সব সমাজে, নারী-পুরুষভেদে হয়ে থাকে। যদিও স্থানভেদে আত্মহত্যার পদ্ধতি এবং অন্যান্য নিয়ামকের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন—সামষ্টিকভাবে বিশ্বে পুরুষরাই বেশি আত্মহত্যা করে থাকে, যা কি না নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। বলে রাখছি, বিশ্বে নারীরা অধিকসংখ্যায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিন্তু সফল হয় কম।
পৃথিবীতে ১ শতাংশ মৃত্যু হয় আত্মহত্যার মাধ্যমে। কৈশোর থেকে বার্ধক্য সব বয়সের মানুষই আত্মহত্যা করতে পারে। তবে চল্লিশোর্ধ্বদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আশঙ্কার বিষয়, বিশ্বে আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ৫০ বছরে আত্মহত্যায় মৃত্যু দেড়গুণ হয়েছে। আত্মহত্যা শুধু ধনী দেশগুলোর সমস্যা নয়। বরং দেখা যায় পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়। ৫৮ শতাংশ আত্মহত্যাকারীর বয়স সাধারণত ৫০ বছরের নিচে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশেও একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীর মোট আত্মহত্যারকারীর প্রায় দুই শতাংশ বাংলাদেশের। বাংলাদেশে আত্মহত্যার তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১১ সালে বাংলাদেশে ১৯৯৬৭ জন আত্মহত্যা করেছিল। বাংলাদেশে সম্ভবত নারীরা অধিকসংখ্যায় আত্মহত্যা করে থাকে। শারীরিক এবং পারিবারিক সহিংসতা নারীদের আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। নারীদের সামাজিক অবস্থান, শিক্ষার অভাব ও পুরুষদের ওপর নির্ভরতাকেও তাদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতার নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক বিষয় চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো আত্মহত্যার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি কারণ হলো—
১. মানসিক রোগের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ।
২. ব্যক্তি জীবনে সংকটময় পরিস্থিতি ৩১ শতাংশ।
৩. একান্ত সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা ২৭ শতাংশ।
৪. শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ২১ শতাংশ।
৫. মদ ১৮ শতাংশ।
৬. মাদক ১০ শতাংশ।
এখন প্রশ্ন হলো—আত্মহত্যা কি প্রতিরোধ করা সম্ভব? কীভাবে কমানো যায় এই আত্মহত্যার মহামারি। আত্মহত্যা মহাপাপ—পৃথিবীর প্রায় সব ধর্ম সেই কথা বলে। কোন কোন দেশ আত্মহত্যার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনপ্রণয়ন করেছে। আত্মহত্যা তবু বেড়েই চলেছে। ধর্মের বাণী এবং আইনি পদক্ষেপ অবশ্যই আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করবে। তবে মৃত্যুর এই মহামারি রুখতে আরো কিছু করা খুবই প্রয়োজন। আত্মহত্যা প্রতিরোধের বিষয়গুলো অনেকগুলো নিরিখে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ব্যক্তি পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ : জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে জানুন। সমস্যার কাছে হেরে যাবেন না। আত্মহত্যার চিন্তাভাবনার ধরন, লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জানুন। সমাধানের জন্য সাহায্য নিন।
অন্যের সাহায্য নিন : প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। সাহায্য নিন। আত্মহত্যার চেষ্টা যারা করে তাদের মধ্যে কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ থাকতে পারে, খেয়াল রাখুন, ব্যবস্থা নিন।
সহায়তা দিন : আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা করুন। যেমন হেল্পলাইনের নম্বর দিন, বই পড়তে উৎসাহিত করুন, বিনোদনে যুক্ত করুন। প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন।
সামাজিক পর্যায়ে : স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সমাজকর্মীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রচেষ্টা থাকতে পারে। যেমন—হেল্পলাইন পরিচালনা, কাউন্সিল, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ইত্যাদি।
জাতীয় পর্যায়ে : আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য একটি জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন আত্মহত্যাপ্রবণতা বাড়ায়—এমন সমস্যাগুলোর জন্য সেবার সম্প্রসারণ। যেমন : মানসিক রোগী ও Neuro deplomental desorder-এর রোগীদের আরো অধিকহারে ধারাবাহিক, মানসম্পন্ন ও ব্যয়সাশ্রয়ী সেবার আওতায় আনা। নারীর প্রতি শারীরিক ও পারিবারিক সহিংসতা কমানো। কার্যকরভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ। আত্মহত্যার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণে প্রাপ্তি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ (ঘুমের বড়ি, কীটনাশক, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি ইত্যাদি)।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার : আজ সমাজের বহু সমস্যা সমাধানে তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো ব্যাপক ব্যবহারের চেষ্টা করা যায়। আমি যখন ল্যাপটপে আত্মহত্যা সম্পর্কিত তথ্যানুসন্ধান করেছিলাম, তখন পর্দায় বারবার ভেসে উঠছিল বিভিন্ন হেল্পলাইনের নম্বর, যেগুলো মূলত আমেরিকার নম্বর। এ ক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশে যেখান থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে, সে জায়গার নম্বর চলে আসে, তাহলে সেটি হবে আরো কার্যকর। হেল্পলাইনের বাইরেও মুঠোফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেন্দ্রিক আরো কৌশল আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজে লাগানো সম্ভব। আত্মহত্যার ব্যাপকতা ও ক্রমবর্ধমান প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’। প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর এই দিবস পালিত হয়ে থাকে। এ বছর দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো—‘আশা জাগায়, কার্যকর উপায়’। আত্মহত্যা প্রতিরোধ ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, স্বাস্থ্যকর্মী ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। সবার চেষ্টায় আত্মহত্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
লেখক : পাবলিক হেলথ সায়েন্স
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে