সুমাইয়া ইয়াসমিন সুম্মু
একসময় তথ্য-উপাত্ত খোঁজার মানেই ছিল কিওয়ার্ড টাইপ করা। আর এখন? কেবল ক্যামেরা তুলুন, আর বাকি কাজ করবে দেবে প্রযুক্তি। আপনি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ চোখে পড়ল অচেনা এক ফুল, নাম জানেন না। কেবল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবিটা তুলুন। Google Lens আপনাকে বলে দেবে ফুলটির নাম ও বৈজ্ঞানিক পরিচয়। এমনকি কোথায় পাওয়া যায় তাও!
এটিই ভিজ্যুয়াল সার্চ। যেখানে ছবিই হয়ে উঠেছে সার্চ ইঞ্জিনের ভাষা। প্রযুক্তির দুনিয়ায় এটা এক নতুন বিপ্লব। মানুষ আর কিবোর্ড-নির্ভর নেই। এখন ছবি দিয়েই প্রশ্ন করা যায়। আর উত্তর আসে প্রায় ম্যাজিকের মতো। ভিজ্যুয়াল সার্চ আসলে কী? এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে ক্যামেরা বা ইমেজের মাধ্যমে সার্চ করা হয়। অর্থাৎ আপনি কোনো বস্তু, সাবজেক্ট, টেক্সট বা জায়গার ছবি তুললে তা বিশ্লেষণ করে এটি সংশ্লিষ্ট তথ্য এনে দেয়।
বিশ্বের প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে Google, Amazon, Pinterest ও Bing এরই মধ্যে ভিজ্যুয়াল সার্চের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে। বিশেষ করে Google Lens এখন অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন দুই প্ল্যাটফর্মেই জনপ্রিয়। আপনি চাইলে একটি বইয়ের কাভারের ছবি তুলে এর রিভিউ জানতে পারেন। কোনো বিদেশি লেখার ছবি তুলে তা বাংলায় অনুবাদ করে নিতে পারেন। এমনকি খাবারের ছবি তুলে রেসিপি জেনে নিতে পারেন। Amazon Visual Search ব্যবহারকারীদের জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে।
আপনি কোনো জামা, জুতা, ব্যাগ বা গ্যাজেট দোকানে দেখে ক্যামেরায় ধরলেন। Amazon অ্যাপ তৎক্ষণাৎ তা চিনে নিয়ে আপনাকে অনলাইনে কিনে দেওয়ার অপশন দেখাবে। এর ফলে রাস্তায় দেখা জুতা বা বন্ধুর মোবাইল এখন আপনার হাতেও পৌঁছাতে পারে—শুধু ক্যামেরার এক ক্লিকে!
এই প্রযুক্তির প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্রেও কম নয়। এখন ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি তুলে সমাধান বা বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। বিজ্ঞানের ডায়াগ্রাম বা ম্যাথ সিম্বল স্ক্যান করে ইউটিউব ভিডিও বা ওয়ার্কড উদাহরণ পাওয়া যায়। Photomath, Microsoft Math Solver, Google Lens—এসব অ্যাপ ছাত্রদের কাছে হয়ে উঠছে অলিখিত গাইড। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ভিজ্যুয়াল সার্চ এক বড় হাতিয়ার। ই-কমার্সে এটি দারুণ কার্যকর।
অনেক সময় মানুষ কোনো প্রোডাক্টের নাম জানেন না, কিন্তু ছবি দেখলেই চিনে ফেলেন। ভিজ্যুয়াল সার্চ প্রযুক্তি সেই ছবি থেকে মিলিয়ে অনুরূপ পণ্যের প্রস্তাব দেয়। ফলে বিক্রেতা পায় বেশি সম্ভাব্য ক্রেতা, আর ক্রেতা পায় কাঙ্ক্ষিত পণ্য সহজে। ভবিষ্যতে যদি কেউ কেবল রঙ আর ডিজাইনের ভিত্তিতে শাড়ি বা ফার্নিচার বেছে নিতে চান, ভিজ্যুয়াল সার্চই তা সম্ভব করে দেবে।
তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। অনেক সময় ঠিকঠাক চেহারা শনাক্ত না করতে পারা, ভুল তথ্য দেওয়া, কিংবা স্পষ্ট ছবি না থাকলে সঠিক তথ্য না পাওয়ার মতো বিষয়গুলো এখনো চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও তথ্যের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার পরও প্রযুক্তির গতিপথ বলছে, ভবিষ্যতের সার্চ ভাষার মাধ্যমে নয়, হবে দৃষ্টির মাধ্যমে। Google, Amazon ও Bing প্রতিনিয়ত নিজেদের সার্ভিসে AI ও Deep Learning যুক্ত করে এই ভিজ্যুয়াল সার্চকে আরো নির্ভরযোগ্য করছে।
একটা সময় ছিল, যখন আমরা চোখ দিয়ে শুধু দেখতাম। আর তথ্য পেতাম হাতের মাধ্যমে। এখন চোখ দিয়ে দেখা মানেই জানা। ভিজ্যুয়াল সার্চ আমাদের সেই যুগে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দেখলেই জানা যাবে সব। ভবিষ্যতের প্রশ্ন আর শুধু ভাষায় লেখা হবে না—ছবি দিয়েই তথ্য জানব আমরা।
একসময় তথ্য-উপাত্ত খোঁজার মানেই ছিল কিওয়ার্ড টাইপ করা। আর এখন? কেবল ক্যামেরা তুলুন, আর বাকি কাজ করবে দেবে প্রযুক্তি। আপনি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ চোখে পড়ল অচেনা এক ফুল, নাম জানেন না। কেবল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবিটা তুলুন। Google Lens আপনাকে বলে দেবে ফুলটির নাম ও বৈজ্ঞানিক পরিচয়। এমনকি কোথায় পাওয়া যায় তাও!
এটিই ভিজ্যুয়াল সার্চ। যেখানে ছবিই হয়ে উঠেছে সার্চ ইঞ্জিনের ভাষা। প্রযুক্তির দুনিয়ায় এটা এক নতুন বিপ্লব। মানুষ আর কিবোর্ড-নির্ভর নেই। এখন ছবি দিয়েই প্রশ্ন করা যায়। আর উত্তর আসে প্রায় ম্যাজিকের মতো। ভিজ্যুয়াল সার্চ আসলে কী? এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে ক্যামেরা বা ইমেজের মাধ্যমে সার্চ করা হয়। অর্থাৎ আপনি কোনো বস্তু, সাবজেক্ট, টেক্সট বা জায়গার ছবি তুললে তা বিশ্লেষণ করে এটি সংশ্লিষ্ট তথ্য এনে দেয়।
বিশ্বের প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে Google, Amazon, Pinterest ও Bing এরই মধ্যে ভিজ্যুয়াল সার্চের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে। বিশেষ করে Google Lens এখন অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন দুই প্ল্যাটফর্মেই জনপ্রিয়। আপনি চাইলে একটি বইয়ের কাভারের ছবি তুলে এর রিভিউ জানতে পারেন। কোনো বিদেশি লেখার ছবি তুলে তা বাংলায় অনুবাদ করে নিতে পারেন। এমনকি খাবারের ছবি তুলে রেসিপি জেনে নিতে পারেন। Amazon Visual Search ব্যবহারকারীদের জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে।
আপনি কোনো জামা, জুতা, ব্যাগ বা গ্যাজেট দোকানে দেখে ক্যামেরায় ধরলেন। Amazon অ্যাপ তৎক্ষণাৎ তা চিনে নিয়ে আপনাকে অনলাইনে কিনে দেওয়ার অপশন দেখাবে। এর ফলে রাস্তায় দেখা জুতা বা বন্ধুর মোবাইল এখন আপনার হাতেও পৌঁছাতে পারে—শুধু ক্যামেরার এক ক্লিকে!
এই প্রযুক্তির প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্রেও কম নয়। এখন ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি তুলে সমাধান বা বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। বিজ্ঞানের ডায়াগ্রাম বা ম্যাথ সিম্বল স্ক্যান করে ইউটিউব ভিডিও বা ওয়ার্কড উদাহরণ পাওয়া যায়। Photomath, Microsoft Math Solver, Google Lens—এসব অ্যাপ ছাত্রদের কাছে হয়ে উঠছে অলিখিত গাইড। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ভিজ্যুয়াল সার্চ এক বড় হাতিয়ার। ই-কমার্সে এটি দারুণ কার্যকর।
অনেক সময় মানুষ কোনো প্রোডাক্টের নাম জানেন না, কিন্তু ছবি দেখলেই চিনে ফেলেন। ভিজ্যুয়াল সার্চ প্রযুক্তি সেই ছবি থেকে মিলিয়ে অনুরূপ পণ্যের প্রস্তাব দেয়। ফলে বিক্রেতা পায় বেশি সম্ভাব্য ক্রেতা, আর ক্রেতা পায় কাঙ্ক্ষিত পণ্য সহজে। ভবিষ্যতে যদি কেউ কেবল রঙ আর ডিজাইনের ভিত্তিতে শাড়ি বা ফার্নিচার বেছে নিতে চান, ভিজ্যুয়াল সার্চই তা সম্ভব করে দেবে।
তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। অনেক সময় ঠিকঠাক চেহারা শনাক্ত না করতে পারা, ভুল তথ্য দেওয়া, কিংবা স্পষ্ট ছবি না থাকলে সঠিক তথ্য না পাওয়ার মতো বিষয়গুলো এখনো চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও তথ্যের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার পরও প্রযুক্তির গতিপথ বলছে, ভবিষ্যতের সার্চ ভাষার মাধ্যমে নয়, হবে দৃষ্টির মাধ্যমে। Google, Amazon ও Bing প্রতিনিয়ত নিজেদের সার্ভিসে AI ও Deep Learning যুক্ত করে এই ভিজ্যুয়াল সার্চকে আরো নির্ভরযোগ্য করছে।
একটা সময় ছিল, যখন আমরা চোখ দিয়ে শুধু দেখতাম। আর তথ্য পেতাম হাতের মাধ্যমে। এখন চোখ দিয়ে দেখা মানেই জানা। ভিজ্যুয়াল সার্চ আমাদের সেই যুগে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দেখলেই জানা যাবে সব। ভবিষ্যতের প্রশ্ন আর শুধু ভাষায় লেখা হবে না—ছবি দিয়েই তথ্য জানব আমরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৫ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে