অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

অক্টোবর বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। এটি শুধু নারীদের রোগ নয়, পুরুষরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে কুসংস্কার, লজ্জা ও অজ্ঞতার কারণে রোগীরা দেরিতে চিকিৎসা শুরু করেন। ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ক্যানসারকে বলা হয় কালান্তর ব্যাধি— যা যুদ্ধ, দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে। তবে পার্থক্য হলো—দুর্যোগ কিছু সময় পরে থেমে গেলেও ক্যানসার প্রতিনিয়ত জীবন কেড়ে নিচ্ছে।
স্তন ক্যানসার কী
স্তন ক্যানসার হলো একটি মারাত্মক রোগ, যেখানে স্তনের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সাধারণত কোষগুলো নিয়মিতভাবে বিভাজিত হয় এবং পুরোনো কোষগুলো মারা যায়। কিন্তু যখন এই নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন কোষগুলো দ্রুত এবং অযথা বিভাজিত হয়ে টিউমার বা গাঁটের সৃষ্টি করে। এই টিউমারটি কখনো কখনো কেবল স্থানীয় থাকে, আবার রক্ত বা লিম্ফের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্তন ক্যানসার নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই হতে পারে, তবে নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
স্তন ক্যানসারের উৎপত্তি
স্তনের দুধবাহী নালি বা গ্রন্থির কোষ যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে, তখন ক্যানসার তৈরি হয়। প্রথমে ছোট গুটি বা চাকা দেখা যায়, পরে ধীরে ধীরে বড় হয় এবং বগল বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ
* স্তনে গুটি বা চাকা অনুভব হওয়া—স্পর্শে দৃঢ়, অনিয়মিত গুটি।
* পুরো স্তনে অস্বাভাবিক ফোলাভাব বা আকার পরিবর্তন—এক বা উভয় স্তন ফোলা।
* ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব, ডিম্পলিং বা কমলার খোসার মতো চেহারা।
* স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া বা আকৃতি পরিবর্তন।
* স্তনবৃন্ত থেকে দুধ ব্যতীত অন্য তরল বা রক্ত নিঃসরণ।
* স্থায়ী ব্যথা বা অস্বাভাবিক টান।
* স্তনের ত্বকে গরম ভাব বা প্রদাহ দেখা যেতে পারে।
* স্তনের উপরিভাগ বা পাশে পিণ্ড বা গুটি দেখা যাওয়া।
* আকারে হঠাৎ পরিবর্তন হওয়া বা কোনো অংশে সাপের মতো টান অনুভূত হওয়া।
* হাত বা বাহুর নিচে লিম্ফ নোড ফোলা বা টান। এই লক্ষণগুলো সাধারণত প্রথম পর্যায়ে চোখে না পড়লেও স্পর্শে ধরা যায়। স্তনে গুটি বা চাকা, অস্বাভাবিক ফোলাভাব, ত্বকে পরিবর্তন, স্তনবৃন্তের আকৃতি পরিবর্তন, অস্বাভাবিক নিঃসরণ, ব্যথা বা টান—এগুলো প্রথম সতর্কসংকেত। তাছাড়া ত্বকে লালচে ভাব, গরম ভাব, হাত বা বাহুর নিচে লিম্ফ নোড ফোলা, স্তনের পাশে পিণ্ড বা গুটি ধরা, হঠাৎ আকার পরিবর্তন হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ ক্যানসারের আশঙ্কা নির্দেশ করে। সচেতন হয়ে সময়মতো ডাক্তার দেখালে চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ঝুঁকির কারণ
* বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ঝুঁকি বৃদ্ধি।
* পরিবারে নিকট আত্মীয়ের (মা, বোন, খালা, ফুপু) ক্যানসারের ইতিহাস।
* দেরিতে বিয়ে বা সন্তান না নেওয়া।
* স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন।
* দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন।
* মেনোপজের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি।
* মদ্যপান ও অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া।
* আগে এক স্তনে ক্যানসার হলে অন্য স্তনেও ঝুঁকি বৃদ্ধি।
* বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো।
ঝুঁকি কমানোর উপায়
* সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম।
* স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা।
* ৩০ বছরের মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়া।
* শিশুকে অন্তত দুই বছর বুকের দুধ খাওয়ানো।
* শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
* মাংস ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া।
স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণ
* নিজে নিজে পরীক্ষা (BSE)
* মাসিক শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তন পরীক্ষা।
* আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে গুটি বা অস্বাভাবিকতা খোঁজা।
* ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন (CBE)।
* চিকিৎসকের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করে ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা।
* ম্যামোগ্রাফি
* এক্স-রে দ্বারা স্তনের ছবি তুলে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা যায়।
পরিসংখ্যান : ভয়াবহ বাস্তবতা
* আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
* প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার ৭৮৩ নারী স্তন ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করেন।
* বাংলাদেশে নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ স্তন ক্যানসারে ভোগেন।
* স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষণার মতে, বাস্তবে এ রোগে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার হতে পারে, কারণ দেশের সব রোগী নথিভুক্ত হন না।
* দেশে স্তন ক্যানসারের রোগীর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ নারী ও দুই শতাংশ পুরুষ রয়েছেন।
প্রতিরোধ ও সচেতনতা
১. নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে ক্যানসার বিষয়ে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া।
২. নিজে নিজে নিয়মিত পরীক্ষা করা।
৩. ২০ বছর বয়স থেকে মাসিক শেষে স্তন পরীক্ষা।
৪. ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করা।
৫. ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের নিয়মিত ম্যামোগ্রাফি করানো।
৬. সুষম খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাড়ানো।
পরিশেষে বলতে চাই, স্তন ক্যানসার একটি ভয়ংকর রোগ হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। তাই সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের মতো দেশে ব্যয়বহুল চিকিৎসা সবসময় সবার জন্য সম্ভব নয়, তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার এবং মানসিক চাপ কমানো এ রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়া পরিবার ও সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মহিলাদের নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতি উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত পরীক্ষার সঙ্গে সচেতন জীবনধারা বজায় রাখলেই লাখো মানুষকে অকালমৃত্যু ও কষ্ট থেকে রক্ষা সম্ভব। সুতরাং সচেতনতা ও স্বাস্থ্যপরামর্শই রোগ প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান,
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

অক্টোবর বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। এটি শুধু নারীদের রোগ নয়, পুরুষরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে কুসংস্কার, লজ্জা ও অজ্ঞতার কারণে রোগীরা দেরিতে চিকিৎসা শুরু করেন। ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ক্যানসারকে বলা হয় কালান্তর ব্যাধি— যা যুদ্ধ, দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে। তবে পার্থক্য হলো—দুর্যোগ কিছু সময় পরে থেমে গেলেও ক্যানসার প্রতিনিয়ত জীবন কেড়ে নিচ্ছে।
স্তন ক্যানসার কী
স্তন ক্যানসার হলো একটি মারাত্মক রোগ, যেখানে স্তনের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সাধারণত কোষগুলো নিয়মিতভাবে বিভাজিত হয় এবং পুরোনো কোষগুলো মারা যায়। কিন্তু যখন এই নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন কোষগুলো দ্রুত এবং অযথা বিভাজিত হয়ে টিউমার বা গাঁটের সৃষ্টি করে। এই টিউমারটি কখনো কখনো কেবল স্থানীয় থাকে, আবার রক্ত বা লিম্ফের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্তন ক্যানসার নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই হতে পারে, তবে নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
স্তন ক্যানসারের উৎপত্তি
স্তনের দুধবাহী নালি বা গ্রন্থির কোষ যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে, তখন ক্যানসার তৈরি হয়। প্রথমে ছোট গুটি বা চাকা দেখা যায়, পরে ধীরে ধীরে বড় হয় এবং বগল বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ
* স্তনে গুটি বা চাকা অনুভব হওয়া—স্পর্শে দৃঢ়, অনিয়মিত গুটি।
* পুরো স্তনে অস্বাভাবিক ফোলাভাব বা আকার পরিবর্তন—এক বা উভয় স্তন ফোলা।
* ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব, ডিম্পলিং বা কমলার খোসার মতো চেহারা।
* স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া বা আকৃতি পরিবর্তন।
* স্তনবৃন্ত থেকে দুধ ব্যতীত অন্য তরল বা রক্ত নিঃসরণ।
* স্থায়ী ব্যথা বা অস্বাভাবিক টান।
* স্তনের ত্বকে গরম ভাব বা প্রদাহ দেখা যেতে পারে।
* স্তনের উপরিভাগ বা পাশে পিণ্ড বা গুটি দেখা যাওয়া।
* আকারে হঠাৎ পরিবর্তন হওয়া বা কোনো অংশে সাপের মতো টান অনুভূত হওয়া।
* হাত বা বাহুর নিচে লিম্ফ নোড ফোলা বা টান। এই লক্ষণগুলো সাধারণত প্রথম পর্যায়ে চোখে না পড়লেও স্পর্শে ধরা যায়। স্তনে গুটি বা চাকা, অস্বাভাবিক ফোলাভাব, ত্বকে পরিবর্তন, স্তনবৃন্তের আকৃতি পরিবর্তন, অস্বাভাবিক নিঃসরণ, ব্যথা বা টান—এগুলো প্রথম সতর্কসংকেত। তাছাড়া ত্বকে লালচে ভাব, গরম ভাব, হাত বা বাহুর নিচে লিম্ফ নোড ফোলা, স্তনের পাশে পিণ্ড বা গুটি ধরা, হঠাৎ আকার পরিবর্তন হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ ক্যানসারের আশঙ্কা নির্দেশ করে। সচেতন হয়ে সময়মতো ডাক্তার দেখালে চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ঝুঁকির কারণ
* বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ঝুঁকি বৃদ্ধি।
* পরিবারে নিকট আত্মীয়ের (মা, বোন, খালা, ফুপু) ক্যানসারের ইতিহাস।
* দেরিতে বিয়ে বা সন্তান না নেওয়া।
* স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন।
* দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন।
* মেনোপজের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি।
* মদ্যপান ও অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া।
* আগে এক স্তনে ক্যানসার হলে অন্য স্তনেও ঝুঁকি বৃদ্ধি।
* বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো।
ঝুঁকি কমানোর উপায়
* সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম।
* স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা।
* ৩০ বছরের মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়া।
* শিশুকে অন্তত দুই বছর বুকের দুধ খাওয়ানো।
* শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
* মাংস ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া।
স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণ
* নিজে নিজে পরীক্ষা (BSE)
* মাসিক শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তন পরীক্ষা।
* আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে গুটি বা অস্বাভাবিকতা খোঁজা।
* ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন (CBE)।
* চিকিৎসকের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করে ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা।
* ম্যামোগ্রাফি
* এক্স-রে দ্বারা স্তনের ছবি তুলে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা যায়।
পরিসংখ্যান : ভয়াবহ বাস্তবতা
* আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
* প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার ৭৮৩ নারী স্তন ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করেন।
* বাংলাদেশে নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ স্তন ক্যানসারে ভোগেন।
* স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষণার মতে, বাস্তবে এ রোগে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার হতে পারে, কারণ দেশের সব রোগী নথিভুক্ত হন না।
* দেশে স্তন ক্যানসারের রোগীর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ নারী ও দুই শতাংশ পুরুষ রয়েছেন।
প্রতিরোধ ও সচেতনতা
১. নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে ক্যানসার বিষয়ে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া।
২. নিজে নিজে নিয়মিত পরীক্ষা করা।
৩. ২০ বছর বয়স থেকে মাসিক শেষে স্তন পরীক্ষা।
৪. ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করা।
৫. ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের নিয়মিত ম্যামোগ্রাফি করানো।
৬. সুষম খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাড়ানো।
পরিশেষে বলতে চাই, স্তন ক্যানসার একটি ভয়ংকর রোগ হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। তাই সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের মতো দেশে ব্যয়বহুল চিকিৎসা সবসময় সবার জন্য সম্ভব নয়, তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার এবং মানসিক চাপ কমানো এ রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়া পরিবার ও সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মহিলাদের নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতি উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত পরীক্ষার সঙ্গে সচেতন জীবনধারা বজায় রাখলেই লাখো মানুষকে অকালমৃত্যু ও কষ্ট থেকে রক্ষা সম্ভব। সুতরাং সচেতনতা ও স্বাস্থ্যপরামর্শই রোগ প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান,
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি তদারককারী সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা পাচ্ছেন আড়াই হাজারের বেশি জবি ছাত্রছাত্রী। নির্বাচন কমিশন গঠনের দুদিনের মাথায় আচরণবিধি প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আয়োজক কমিটি জানায়, বছরব্যাপী উৎসবের প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট থিম ধরে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরকে যথাক্রমে ‘উদ্বোধন ও নেতৃত্ব’ এবং ‘উদ্ভাবন ও গবেষণা’ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
এডুকেশনাল সাইকোলজি এবং কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিষয়ে এম এস এবং এম ফিল ডিগ্রি সম্পন্ন করায় চারজনকে মনোবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটি (বিইসিপিএস)।
১৮ ঘণ্টা আগে