
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার

সাভারে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রবিউল ইসলাম সুমন। ১২ বছর বয়সি শিশুটি ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সাহসী ভূমিকায়। পঞ্চম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী আন্দোলনে প্রতিদিন যোগ দিত বড়দের সঙ্গে।
থাকত মিছিলের অগ্রভাগে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলির মুখ থেকে বেশ কয়েকবার নিজেতে রক্ষা করতে পারলেও ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় সাভার থানার সামনে পুলিশের ছোড়া গুলি সুমনের শরীর এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুমন সড়কে পড়েছিল দীর্ঘ সময়। পরে ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রথমে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন এবং পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৪ দিন ভর্তি ছিল।
গুলিতে তার মূত্র ও মলত্যাগের নালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথম অস্ত্রোপচারটি শেষ হলে তার মূত্রনালি ঠিক হয়। কিন্তু দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা তার পরিবারের পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। ফলে সুমনকে দিন-রাত মলত্যাগের ব্যাগ হাতে নিয়ে জীবন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বিধবা মা হালিমা বেগম রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করেন। তিনি জানান, দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। পিতৃহীন সুমন মায়ের নিষেধ অমান্য করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে প্রতিদিন পাকিজা মোড় ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে ছাত্র-জনতার সঙ্গে রাজপথে অংশ নিত। তার অবস্থান থাকত মিছিলের অগ্রভাগে।
পুলিশের গুলিতে তার পাশ থেকে বেশ কয়েকজন গুলি খেয়ে মারা গেলেও সে প্রায় সময়ই আত্মরক্ষা করতে পেরেছে। কিন্তু ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গিয়ে সাভার মডেল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয় সে। গুলি পেছন থেকে উরু ভেদ করে মলত্যাগের স্থান দিয়ে বের হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ আগস্ট অস্ত্রোপচার হয় তার। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টেও রাখা হয়। একাধিকবার পুলিশ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু সে যাত্রায় সুমন বেঁচে গেছে। তবে অসুস্থতা তাকে এখনও ছাড়েনি। তার ক্ষতও এখনও শুকায়নি। অস্ত্রোপচারে তার মূত্রনালি ঠিক হয়েছে, কিন্তু মলত্যাগের নালির অস্ত্রোপচারের জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্ধারিত দিনে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথমে তাকে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে এবং পরে অস্ত্রোপচার শুরু হলে আরও টাকা লাগবে। এ কথা শুনে দিনমজুর মা হালিমা বেগমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি চোখের পানি মুছতে মুছতে বাসায় ফিরে যান। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র সুমনকে নিয়ে ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি করেন। সেখানে ১৪ দিন থাকার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুমনের অস্ত্রোপচার না করে ছাড়পত্র দেয়।
এ বিষয়ে সুমনের মা হালিমা বেগম জানান, তার পক্ষে ছেলের অস্ত্রোপচারের খরচ বহন করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। ছেলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে তিনি দেশের বিত্তশালী ও জুলাই ফাউন্ডেশনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এমবি

সাভারে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রবিউল ইসলাম সুমন। ১২ বছর বয়সি শিশুটি ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সাহসী ভূমিকায়। পঞ্চম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী আন্দোলনে প্রতিদিন যোগ দিত বড়দের সঙ্গে।
থাকত মিছিলের অগ্রভাগে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলির মুখ থেকে বেশ কয়েকবার নিজেতে রক্ষা করতে পারলেও ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় সাভার থানার সামনে পুলিশের ছোড়া গুলি সুমনের শরীর এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুমন সড়কে পড়েছিল দীর্ঘ সময়। পরে ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রথমে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন এবং পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৪ দিন ভর্তি ছিল।
গুলিতে তার মূত্র ও মলত্যাগের নালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথম অস্ত্রোপচারটি শেষ হলে তার মূত্রনালি ঠিক হয়। কিন্তু দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা তার পরিবারের পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। ফলে সুমনকে দিন-রাত মলত্যাগের ব্যাগ হাতে নিয়ে জীবন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বিধবা মা হালিমা বেগম রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করেন। তিনি জানান, দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। পিতৃহীন সুমন মায়ের নিষেধ অমান্য করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে প্রতিদিন পাকিজা মোড় ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে ছাত্র-জনতার সঙ্গে রাজপথে অংশ নিত। তার অবস্থান থাকত মিছিলের অগ্রভাগে।
পুলিশের গুলিতে তার পাশ থেকে বেশ কয়েকজন গুলি খেয়ে মারা গেলেও সে প্রায় সময়ই আত্মরক্ষা করতে পেরেছে। কিন্তু ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গিয়ে সাভার মডেল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয় সে। গুলি পেছন থেকে উরু ভেদ করে মলত্যাগের স্থান দিয়ে বের হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ আগস্ট অস্ত্রোপচার হয় তার। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টেও রাখা হয়। একাধিকবার পুলিশ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু সে যাত্রায় সুমন বেঁচে গেছে। তবে অসুস্থতা তাকে এখনও ছাড়েনি। তার ক্ষতও এখনও শুকায়নি। অস্ত্রোপচারে তার মূত্রনালি ঠিক হয়েছে, কিন্তু মলত্যাগের নালির অস্ত্রোপচারের জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্ধারিত দিনে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথমে তাকে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে এবং পরে অস্ত্রোপচার শুরু হলে আরও টাকা লাগবে। এ কথা শুনে দিনমজুর মা হালিমা বেগমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি চোখের পানি মুছতে মুছতে বাসায় ফিরে যান। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র সুমনকে নিয়ে ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি করেন। সেখানে ১৪ দিন থাকার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুমনের অস্ত্রোপচার না করে ছাড়পত্র দেয়।
এ বিষয়ে সুমনের মা হালিমা বেগম জানান, তার পক্ষে ছেলের অস্ত্রোপচারের খরচ বহন করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। ছেলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে তিনি দেশের বিত্তশালী ও জুলাই ফাউন্ডেশনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এমবি

জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫
চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫