সরদার আনিছ
কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পর সারাদেশেই বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রা কমে স্বস্তি ফিরলেও কিছু কিছু এলাকায় এখনো মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দুপুরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৯ দশমিক ২ এবং রাজধানীতে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগের তুলনায় তাপ অনেক কমে এসেছে। এতে আগের কয়েকদিনের তুলনায় সারাদেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় স্বস্তির সুবাতাস বইছে।
অন্যদিকে রোববার থেকে সোমবার ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জেলায় বৃষ্টির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরমধ্যে রাঙামাটি ৮৬ ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ৭০ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়। সোমবারও খুলনার বাগেরহাট, বরিশাল বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
এভাবে কখনো বৃষ্টি কখনো গরম এ অবস্থা আগামী ২৩ মে পর্যন্ত চললেও ২৪ মে কিংবা ২৫ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে, আবার নাও নিতে পারে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত নয়, তবে আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উপযোগী রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আরো কয়েকদিন গেলে এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার বুঝা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে স্যাটেলাইট চিত্র পর্যবেক্ষণ করছে এবং নৌপরিবহণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগাম সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম এরই মধ্যে ঠিক হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা এর নাম দিয়েছে ‘শক্তি’।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আমার দেশকে বলেন,‘বর্তমানে আমরা একটি সম্ভাব্য নিম্নচাপের পূর্বাভাস পাচ্ছি। ২৪ থেকে ২৫ মের মধ্যে এটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে।’
বজলুর রশিদ আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে নিম্নচাপের আশঙ্কা আছে মোটামুটি ৭০ শতাংশ। আর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ আশঙ্কা ৩০ শতাংশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উপযোগী রয়েছে। তবে নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি কোথায় যাবে, কীভাবে শক্তি সঞ্চয় করবে, এসব বিষয় আরও কিছুদিন পর জানা যাবে।’
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নিম্নচাপের গঠন ও সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট তথ্য জানা যাবে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, সাধারণত মে মাস ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। গত বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের উপকূল অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় কাছাকাছি। এর আগেও একাধিক বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে আবহাওয়াবিদেরা এ সময় সতর্ক থাকতে বলছেন।
এমএস
কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পর সারাদেশেই বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রা কমে স্বস্তি ফিরলেও কিছু কিছু এলাকায় এখনো মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দুপুরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৯ দশমিক ২ এবং রাজধানীতে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগের তুলনায় তাপ অনেক কমে এসেছে। এতে আগের কয়েকদিনের তুলনায় সারাদেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় স্বস্তির সুবাতাস বইছে।
অন্যদিকে রোববার থেকে সোমবার ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জেলায় বৃষ্টির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরমধ্যে রাঙামাটি ৮৬ ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ৭০ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়। সোমবারও খুলনার বাগেরহাট, বরিশাল বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
এভাবে কখনো বৃষ্টি কখনো গরম এ অবস্থা আগামী ২৩ মে পর্যন্ত চললেও ২৪ মে কিংবা ২৫ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে, আবার নাও নিতে পারে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত নয়, তবে আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উপযোগী রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আরো কয়েকদিন গেলে এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার বুঝা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে স্যাটেলাইট চিত্র পর্যবেক্ষণ করছে এবং নৌপরিবহণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগাম সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম এরই মধ্যে ঠিক হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা এর নাম দিয়েছে ‘শক্তি’।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আমার দেশকে বলেন,‘বর্তমানে আমরা একটি সম্ভাব্য নিম্নচাপের পূর্বাভাস পাচ্ছি। ২৪ থেকে ২৫ মের মধ্যে এটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে।’
বজলুর রশিদ আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে নিম্নচাপের আশঙ্কা আছে মোটামুটি ৭০ শতাংশ। আর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ আশঙ্কা ৩০ শতাংশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উপযোগী রয়েছে। তবে নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি কোথায় যাবে, কীভাবে শক্তি সঞ্চয় করবে, এসব বিষয় আরও কিছুদিন পর জানা যাবে।’
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নিম্নচাপের গঠন ও সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট তথ্য জানা যাবে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, সাধারণত মে মাস ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। গত বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের উপকূল অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় কাছাকাছি। এর আগেও একাধিক বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে আবহাওয়াবিদেরা এ সময় সতর্ক থাকতে বলছেন।
এমএস
আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত টানা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৭ ঘণ্টা আগেদুপুরের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ ১০ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের আট বিভাগেই আজ অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
২ দিন আগেঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩ দিন আগে