
জাকারিয়া আল হোসাইন

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা নিছক একটি ছাত্র আন্দোলন ছিল না। ইতিহাসের ধারায় অনেক আন্দোলন আসে, কিছু ধূলিসাৎ হয়ে যায়, কিছু পারিপার্শ্বিক চাপে ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু কিছু আন্দোলন থাকে, যেগুলো একটি জাতি, সমাজ এবং দেশকে বড়মাত্রায় নাড়া দিয়ে যায়। জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন কিংবা জুলাই গণঅভ্যুত্থান তেমনই এক ঘটনা, যেটি ছাত্রদের শুধু অর্জন নয়; বরং নতুন আত্মচেতনার জন্ম। এটি গুটিকয়েক ছাত্রনেতার বক্তৃতা ছিল না, ছিল হেঁটে আসা হাজারো তরুণের গর্জন।
জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো ছিল খুবই স্পষ্ট—যদিও সেটির উত্থান ছিল কোটা সংস্কার দিয়ে। তবে এই কোটা সংস্কারের মূলে আরো অনেক সংস্কার ছিল, যা পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দাবি হয়ে উঠে আসতে থাকে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, দখলদারিত্ব, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ছিল এ আন্দোলনের নেপথ্য আকাঙ্ক্ষা। সেই স্রোতের মধ্যে দেখা যায়, তরুণদের ভেতর থেকে এক ধরনের ‘জাতীয় আত্মমর্যাদা’র আবার আবিষ্কার। এটি শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়; বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চাপ ও প্রভাবের বিরুদ্ধেও একটি সোজা ‘না’ বলা।
বাংলাদেশে ভারতের ভূরাজনৈতিক প্রভাব নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বন্ধুত্বের নাম করে আমরা ভারত থেকে শুধু একতরফা আধিপত্যের শিকার হয়ে আসছি।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) ছিল জুলাই বিপ্লবের একটি সুশৃঙ্খল ফল। যেখানে বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো পৃথিবীর একটি বিশেষ নজর ছিল। ৫ আগস্ট-পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা ছিল স্বপ্নের মতো। এই নির্বাচনে ছাত্রসমাজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে আর কারোর আধিপত্য ও গোলামি চলবে না।
ডাকসু নির্বাচনের ফল দেখে একশ্রেণির ভারতীয় মিডিয়া ও বিশ্লেষক চরম অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্য—বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে ভারতের প্রতি ‘অসন্তোষ’ বাড়ছে। ভারতের কিছু পর্যবেক্ষক এটিকে উদ্বেগজনক বলেও আখ্যা দিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সামান্য একটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের এমন প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, তারা এখনো বাংলাদেশকে তাদের করদরাজ্য ভেবে বসে আছে। কিন্তু এই প্রজন্মের হাতছানি হলো সেই দিন অতীত হয়েছে।
এই প্রজন্ম ভারতকে চিরশত্রু মনে করে না, কিন্তু তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে—প্রতিবেশী হয়ে থাকতে চাইলে সমান মর্যাদা নিয়ে থাকতে হবে। একতরফা আধিপত্য, রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ বা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এই নতুন বাংলাদেশের তরুণরা কখনোই মেনে নেবে না। এখানে একটি ঐতিহাসিক সত্যও স্পষ্ট হয়ে উঠছে—স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রাজনৈতিকভাবে যাদের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্র গড়ার, তাদের চরম ব্যর্থতায় এই দেশ একপর্যায়ে এসে নতজানু অবস্থায় চলে যায়। ভারতের খুশি-অখুশি যেন আমাদের নীতিনির্ধারকদের সবচেয়ে বড় বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়। তিস্তার পানিতে মরুক্রান্ত অঞ্চলের ধান নষ্ট হোক, সীমান্তে গুলিতে কৃষক মরুক, ভারত যেন কষ্ট না পায়। এই নীতিতে বড় হওয়া একটি প্রজন্ম এখনো প্রশ্ন তোলে—আমরা কি স্বাধীন? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই শুরু হয়েছিল জুলাই বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবের প্রথম অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) এবং তার ঐতিহাসিক ফল।
তরুণদের এই আত্মঘোষণাই ভারতের কাছে অস্বস্তিকর। কারণ ভারতের গণমাধ্যম, রাজনীতি ও কূটনীতি—সবকিছুর মধ্যে একটি অঘোষিত বার্তা থাকে : ‘বাংলাদেশ আমাদের উপগ্রহরাষ্ট্র’। কিন্তু ডাকসুর ফল বলে দেয়, এই প্রজন্ম আর কারো ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকার নয়। আজ আমাদের তরুণ প্রজন্ম চোখে চোখ রেখে একটি সত্য উচ্চারণ করছে—বাংলাদেশের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি অর্জন, প্রতিটি পরিবর্তন—বাহ্যিক বা ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারকদের চাপে নয়; বরং জনগণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আসবে। কেউ অখুশি হবে? হোক। কারোর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে; আঘাত লাগবে? লাগুক।
তারা বলতে শিখেছে—এই দেশ আমাদের। আমাদের চিন্তা, আমাদের চেতনা, আমাদের চ্যালেঞ্জ—সবকিছু আমরাই ঠিক করব।
আজকের বাংলাদেশ এমন এক প্রজন্মের হাতে উঠে এসেছে, যারা ভারতের দৃষ্টি নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিবেককে গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে দেখে। যারা জানে—কোন রাস্তা বিজয়ের আর কোনটি আত্মবিক্রয়ের। ডাকসু নির্বাচনের ফল এই জাতির তরুণদের প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, যা ‘ভারতের খুশি-অখুশির’ প্যারামিটার ছুড়ে ফেলে নতুন একটা দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
লেখক : শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, নিলফামারী সরকারি কলেজ

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা নিছক একটি ছাত্র আন্দোলন ছিল না। ইতিহাসের ধারায় অনেক আন্দোলন আসে, কিছু ধূলিসাৎ হয়ে যায়, কিছু পারিপার্শ্বিক চাপে ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু কিছু আন্দোলন থাকে, যেগুলো একটি জাতি, সমাজ এবং দেশকে বড়মাত্রায় নাড়া দিয়ে যায়। জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন কিংবা জুলাই গণঅভ্যুত্থান তেমনই এক ঘটনা, যেটি ছাত্রদের শুধু অর্জন নয়; বরং নতুন আত্মচেতনার জন্ম। এটি গুটিকয়েক ছাত্রনেতার বক্তৃতা ছিল না, ছিল হেঁটে আসা হাজারো তরুণের গর্জন।
জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো ছিল খুবই স্পষ্ট—যদিও সেটির উত্থান ছিল কোটা সংস্কার দিয়ে। তবে এই কোটা সংস্কারের মূলে আরো অনেক সংস্কার ছিল, যা পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দাবি হয়ে উঠে আসতে থাকে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, দখলদারিত্ব, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ছিল এ আন্দোলনের নেপথ্য আকাঙ্ক্ষা। সেই স্রোতের মধ্যে দেখা যায়, তরুণদের ভেতর থেকে এক ধরনের ‘জাতীয় আত্মমর্যাদা’র আবার আবিষ্কার। এটি শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়; বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চাপ ও প্রভাবের বিরুদ্ধেও একটি সোজা ‘না’ বলা।
বাংলাদেশে ভারতের ভূরাজনৈতিক প্রভাব নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বন্ধুত্বের নাম করে আমরা ভারত থেকে শুধু একতরফা আধিপত্যের শিকার হয়ে আসছি।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) ছিল জুলাই বিপ্লবের একটি সুশৃঙ্খল ফল। যেখানে বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো পৃথিবীর একটি বিশেষ নজর ছিল। ৫ আগস্ট-পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা ছিল স্বপ্নের মতো। এই নির্বাচনে ছাত্রসমাজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে আর কারোর আধিপত্য ও গোলামি চলবে না।
ডাকসু নির্বাচনের ফল দেখে একশ্রেণির ভারতীয় মিডিয়া ও বিশ্লেষক চরম অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্য—বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে ভারতের প্রতি ‘অসন্তোষ’ বাড়ছে। ভারতের কিছু পর্যবেক্ষক এটিকে উদ্বেগজনক বলেও আখ্যা দিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সামান্য একটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের এমন প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, তারা এখনো বাংলাদেশকে তাদের করদরাজ্য ভেবে বসে আছে। কিন্তু এই প্রজন্মের হাতছানি হলো সেই দিন অতীত হয়েছে।
এই প্রজন্ম ভারতকে চিরশত্রু মনে করে না, কিন্তু তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে—প্রতিবেশী হয়ে থাকতে চাইলে সমান মর্যাদা নিয়ে থাকতে হবে। একতরফা আধিপত্য, রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ বা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এই নতুন বাংলাদেশের তরুণরা কখনোই মেনে নেবে না। এখানে একটি ঐতিহাসিক সত্যও স্পষ্ট হয়ে উঠছে—স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রাজনৈতিকভাবে যাদের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্র গড়ার, তাদের চরম ব্যর্থতায় এই দেশ একপর্যায়ে এসে নতজানু অবস্থায় চলে যায়। ভারতের খুশি-অখুশি যেন আমাদের নীতিনির্ধারকদের সবচেয়ে বড় বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়। তিস্তার পানিতে মরুক্রান্ত অঞ্চলের ধান নষ্ট হোক, সীমান্তে গুলিতে কৃষক মরুক, ভারত যেন কষ্ট না পায়। এই নীতিতে বড় হওয়া একটি প্রজন্ম এখনো প্রশ্ন তোলে—আমরা কি স্বাধীন? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই শুরু হয়েছিল জুলাই বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবের প্রথম অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) এবং তার ঐতিহাসিক ফল।
তরুণদের এই আত্মঘোষণাই ভারতের কাছে অস্বস্তিকর। কারণ ভারতের গণমাধ্যম, রাজনীতি ও কূটনীতি—সবকিছুর মধ্যে একটি অঘোষিত বার্তা থাকে : ‘বাংলাদেশ আমাদের উপগ্রহরাষ্ট্র’। কিন্তু ডাকসুর ফল বলে দেয়, এই প্রজন্ম আর কারো ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকার নয়। আজ আমাদের তরুণ প্রজন্ম চোখে চোখ রেখে একটি সত্য উচ্চারণ করছে—বাংলাদেশের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি অর্জন, প্রতিটি পরিবর্তন—বাহ্যিক বা ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারকদের চাপে নয়; বরং জনগণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আসবে। কেউ অখুশি হবে? হোক। কারোর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে; আঘাত লাগবে? লাগুক।
তারা বলতে শিখেছে—এই দেশ আমাদের। আমাদের চিন্তা, আমাদের চেতনা, আমাদের চ্যালেঞ্জ—সবকিছু আমরাই ঠিক করব।
আজকের বাংলাদেশ এমন এক প্রজন্মের হাতে উঠে এসেছে, যারা ভারতের দৃষ্টি নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিবেককে গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে দেখে। যারা জানে—কোন রাস্তা বিজয়ের আর কোনটি আত্মবিক্রয়ের। ডাকসু নির্বাচনের ফল এই জাতির তরুণদের প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, যা ‘ভারতের খুশি-অখুশির’ প্যারামিটার ছুড়ে ফেলে নতুন একটা দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
লেখক : শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, নিলফামারী সরকারি কলেজ

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার তথাকথিত বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ তথা সেক্যুলারিজমের নামে সমাজকে বিভাজিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। কোথাও স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ ছিল না। স্বৈরাচারের পক্ষের লোক হিসেবে পরিচিত না হলে চাকরি পাওয়া যেত
১১ ঘণ্টা আগে
মুত্তাকি ভারতকে আফগানিস্তানের খনিজ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তালেবান সরকার অন্যান্য দেশকেও একই প্রস্তাব দিয়েছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। ইরানের চাবাহার বন্দরকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগানোর বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ।
১১ ঘণ্টা আগে
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অভ্যুত্থান থেকে উৎসারিত একটি বৈপ্লবিক শক্তিই তাদের অধিকার দিয়েছে পুরোনো-অকেজো কিংবা বিতর্কিত, মনগড়া সংবিধানসহ সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে দৃপ্ত পদভারে এগিয়ে যেতে। সে কারণে দেশ ও জাতির চাহিদা অনুযায়ী অতি আবশ্যকীয় কিছু মৌলিক সংস্কার-সংবলিত ‘জুলাই ঘোষণা’ কিংবা
১২ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার ‘মাদক সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সামরিক অভিযান ক্যারিবীয় অঞ্চলকে একটি নতুন যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন গত আগস্ট মাস থেকে এই অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধজাহাজ, পারমাণবিক সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান এবং হাজার হাজার সেনা
১ দিন আগে