
হারুন-আর-রশিদ

পদ্মা সেতুর নির্মাণ খরচ ৩২ হাজার কোটি টাকা আর দরবেশ বাবার ব্যাংকঋণ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। পলক সাহেব তার ডিজিটাল প্রকল্প থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জয় ও তার খালাতো বোন টিউলিপ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এস আলম গ্রুপ এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই লোন নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। ১৬ বছরে বাংলাদেশের ঋণ ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার আর পাচার হয়েছে ৯৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যার দ্বারা ৬৯৭টা মেট্রোরেল তৈরি করা যেত, ৩১৭টা সেটেলাইট পাঠানো যেত এবং ৩৬টি পদ্মা সেতু বানানো যেত। তাহলে বোঝেন কতটা উন্নত করেছে বাংলাদেশ।
গণভবন দখলে নেওয়ায় দেশের কত ক্ষতি হয়েছে, আর দখলে না নিলে কত ক্ষতি হতো, সেটা জানা দরকার। যেমন ধরুন ১৬ বছরে শুধু পাচার হয়েছে ১১ লাখ কোটি টাকা, সে হিসেবে প্রতি বছর ৬৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতিমাসে ৫ দশমিক ৬ হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন ১৮৬ কোটি টাকা। প্রতি ঘণ্টায় ৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা। প্রতি মিনিটে ১২ হাজার ৮৩৩ লাখ টাকা।
প্রতি সেকেন্ডে ২১ হাজার টাকা। এই হিসাবটা শুধু পাচারের। এ ছাড়া ভেতরের দলীয় লোকেরা কত লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, তার হিসাব নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর (চলতি দায়িত্ব) নভেম্বর মাসে ২০২৪ এক প্রজ্ঞাপনে বলেছেন, এস আলম গ্রুপ তার পরিচালিত ব্যাংক খাত থেকে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ কোটি টাকার ওপর ঋণ নিয়েছে, যার কারণে আট থেকে ১০টি ব্যাংক তহবিল সংকটে পড়ে এবং অসংখ্য আমানতকারীর চেক ফেরত দেওয়া হয়েছে, যার প্রক্রিয়া চলমান আছে। একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো পুঁজিবাজার।
সেই পুঁজিবাজার ১৬ বছর ধরে আলোর মুখ দেখেনি। পুঁজি হারিয়ে একাধিক মানুষ আত্মহত্যা করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে বহু লোক জেল খেটেছে। পুলিশের পিটুনি খেয়ে রক্তমাখা শার্ট নিয়ে আর্তনাদ করতে দেখেছি ২০১০ সালে শাপলা চত্বরে। মতিঝিলের ইউনুস টাওয়ারের ছাদে দাঁড়িয়ে সেই দানবীয় দৃশ্য দেখেছিলাম আমি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ২১শে টিভির একটি লাইভ প্রোগ্রামে আমি অংশ নিয়ে পুঁজিহারা মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের অশ্রুসিক্ত আহাজারি তুলে ধরেছিলাম।
দরবেশ বাবা আর লোটাস কামাল গং—এককথায় আওয়ামী ব্যবসায়ীরা স্টক মার্কেটে আকস্মিক মূল্য বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ যেন লুটের বাজার। এককথায় পুঁজির বাজার রূপ নেয় জুয়ার বাজারে। কথাটি তখন চাউর হয়ে যায় গোটা দেশব্যাপী। লন্ডন (২০২৩) ও সিঙ্গাপুর (২০১৪) স্টক মার্কেট দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। দেখে মনে হচ্ছিল মেধাবী ও ভদ্র মানুষের বাজার। এসব দেশে পুঁজিবাজার পুরোপুরি স্থিতিশীল। উন্নত বিশ্বে ক্যাপিটাল মার্কেটে টাউট-বাটপাড়দের স্থান নেই।
একটি প্রবাদবাক্য আছে—‘শাসক যদি চোর হয়, সেদেশের দারিদ্র্য কখনও কমে না।’ ১/১১ (২০০৭-০৮) লগি-বৈঠার তাণ্ডবে ২৭টি তরতাজা প্রাণ নিঃশেষ হওয়া থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৮ বছর আওয়ামী ফ্যসিস্ট মাফিয়া চক্রের চক্রান্তে নিহত মানুষের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে । রক্তাক্ত শরীরে আহত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের ওপর। বিদেশের গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে।
২০০৯ সালে ২৬-২৭ মাসে দুদিন ঢাকায় পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। তাতে ৫৭ সিনিয়র চৌকস সেনা অফিসারসহ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডারসে পলাতক গড ফাদার শামীম ওসমানের নাম জাতীয় দৈনিকগুলোয় লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।
লাশগুলো গুম করা হয়েছিল শীতালক্ষ্যা নদীতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অপকর্মের হোতারা দলীয় লোক বলে সব অপরাধ ক্ষমাযোগ্য—শাসকদের এই বেআইনি কর্মকাণ্ড জাতি ১৬ বছর শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে। কুখ্যাত ওসি প্রদীপ মেজর সিনহাসহ ২০০ মানুষ খুনের স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আদালতে, যার ফাঁসির রায় অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি। অথচ ২৬ লীগপন্থি ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দিলেন আওয়ামী প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান ।
অন্যদিকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ভিন্নমতের মানুষদের ফাঁসি দিয়েছে মামলাবাজ হাসিনা সরকার। এমন কোনো কালাকানুন নেই যা প্রয়োগ করা হয়নি ভিন্নমতের লোকদের ওপর বিগত ১৬ বছরে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি, যার কারণ আওয়ামী ঘরানার ব্যবসায়ী। এই সাংবাদিক দম্পতিকে নিয়ে বহু লেখালেখিও হয়েছে।
এমবি

পদ্মা সেতুর নির্মাণ খরচ ৩২ হাজার কোটি টাকা আর দরবেশ বাবার ব্যাংকঋণ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। পলক সাহেব তার ডিজিটাল প্রকল্প থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জয় ও তার খালাতো বোন টিউলিপ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এস আলম গ্রুপ এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই লোন নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। ১৬ বছরে বাংলাদেশের ঋণ ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার আর পাচার হয়েছে ৯৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যার দ্বারা ৬৯৭টা মেট্রোরেল তৈরি করা যেত, ৩১৭টা সেটেলাইট পাঠানো যেত এবং ৩৬টি পদ্মা সেতু বানানো যেত। তাহলে বোঝেন কতটা উন্নত করেছে বাংলাদেশ।
গণভবন দখলে নেওয়ায় দেশের কত ক্ষতি হয়েছে, আর দখলে না নিলে কত ক্ষতি হতো, সেটা জানা দরকার। যেমন ধরুন ১৬ বছরে শুধু পাচার হয়েছে ১১ লাখ কোটি টাকা, সে হিসেবে প্রতি বছর ৬৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতিমাসে ৫ দশমিক ৬ হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন ১৮৬ কোটি টাকা। প্রতি ঘণ্টায় ৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা। প্রতি মিনিটে ১২ হাজার ৮৩৩ লাখ টাকা।
প্রতি সেকেন্ডে ২১ হাজার টাকা। এই হিসাবটা শুধু পাচারের। এ ছাড়া ভেতরের দলীয় লোকেরা কত লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, তার হিসাব নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর (চলতি দায়িত্ব) নভেম্বর মাসে ২০২৪ এক প্রজ্ঞাপনে বলেছেন, এস আলম গ্রুপ তার পরিচালিত ব্যাংক খাত থেকে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ কোটি টাকার ওপর ঋণ নিয়েছে, যার কারণে আট থেকে ১০টি ব্যাংক তহবিল সংকটে পড়ে এবং অসংখ্য আমানতকারীর চেক ফেরত দেওয়া হয়েছে, যার প্রক্রিয়া চলমান আছে। একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো পুঁজিবাজার।
সেই পুঁজিবাজার ১৬ বছর ধরে আলোর মুখ দেখেনি। পুঁজি হারিয়ে একাধিক মানুষ আত্মহত্যা করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে বহু লোক জেল খেটেছে। পুলিশের পিটুনি খেয়ে রক্তমাখা শার্ট নিয়ে আর্তনাদ করতে দেখেছি ২০১০ সালে শাপলা চত্বরে। মতিঝিলের ইউনুস টাওয়ারের ছাদে দাঁড়িয়ে সেই দানবীয় দৃশ্য দেখেছিলাম আমি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ২১শে টিভির একটি লাইভ প্রোগ্রামে আমি অংশ নিয়ে পুঁজিহারা মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের অশ্রুসিক্ত আহাজারি তুলে ধরেছিলাম।
দরবেশ বাবা আর লোটাস কামাল গং—এককথায় আওয়ামী ব্যবসায়ীরা স্টক মার্কেটে আকস্মিক মূল্য বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ যেন লুটের বাজার। এককথায় পুঁজির বাজার রূপ নেয় জুয়ার বাজারে। কথাটি তখন চাউর হয়ে যায় গোটা দেশব্যাপী। লন্ডন (২০২৩) ও সিঙ্গাপুর (২০১৪) স্টক মার্কেট দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। দেখে মনে হচ্ছিল মেধাবী ও ভদ্র মানুষের বাজার। এসব দেশে পুঁজিবাজার পুরোপুরি স্থিতিশীল। উন্নত বিশ্বে ক্যাপিটাল মার্কেটে টাউট-বাটপাড়দের স্থান নেই।
একটি প্রবাদবাক্য আছে—‘শাসক যদি চোর হয়, সেদেশের দারিদ্র্য কখনও কমে না।’ ১/১১ (২০০৭-০৮) লগি-বৈঠার তাণ্ডবে ২৭টি তরতাজা প্রাণ নিঃশেষ হওয়া থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৮ বছর আওয়ামী ফ্যসিস্ট মাফিয়া চক্রের চক্রান্তে নিহত মানুষের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে । রক্তাক্ত শরীরে আহত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের ওপর। বিদেশের গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে।
২০০৯ সালে ২৬-২৭ মাসে দুদিন ঢাকায় পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। তাতে ৫৭ সিনিয়র চৌকস সেনা অফিসারসহ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডারসে পলাতক গড ফাদার শামীম ওসমানের নাম জাতীয় দৈনিকগুলোয় লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।
লাশগুলো গুম করা হয়েছিল শীতালক্ষ্যা নদীতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অপকর্মের হোতারা দলীয় লোক বলে সব অপরাধ ক্ষমাযোগ্য—শাসকদের এই বেআইনি কর্মকাণ্ড জাতি ১৬ বছর শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে। কুখ্যাত ওসি প্রদীপ মেজর সিনহাসহ ২০০ মানুষ খুনের স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আদালতে, যার ফাঁসির রায় অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি। অথচ ২৬ লীগপন্থি ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দিলেন আওয়ামী প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান ।
অন্যদিকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ভিন্নমতের মানুষদের ফাঁসি দিয়েছে মামলাবাজ হাসিনা সরকার। এমন কোনো কালাকানুন নেই যা প্রয়োগ করা হয়নি ভিন্নমতের লোকদের ওপর বিগত ১৬ বছরে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি, যার কারণ আওয়ামী ঘরানার ব্যবসায়ী। এই সাংবাদিক দম্পতিকে নিয়ে বহু লেখালেখিও হয়েছে।
এমবি

এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১৪ ঘণ্টা আগে
‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
২ দিন আগে