
দাউদ হোসেন

একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কতগুলো প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, ভিন্নমতকে সম্মান জানানো, আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, মানবাধিকার মেনে চলা, জবাবদিহি এবং সর্বোপরি নিজের দেশের প্রতি গণতান্ত্রিক দলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে জন্মের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড একটি ফ্যাসিস্ট দলের কাতারেই পড়ে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন, যা পরে আওয়ামী লীগ হয়। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে মওলানা ভাসানী এবং শেরেবাংলা ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত সদস্যরা পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন, যাদের অঙ্গীকার ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও যুক্তফ্রন্ট সরকার অচিরেই ভেঙে যায়। এই বিভাজনের জন্য মূলত শেখ মুজিবুর রহমানই দায়ী ছিলেন। (সূত্র : আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর : পৃষ্ঠা-৪২৬)। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েও পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে উপেক্ষা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক সামরিক চুক্তি করেন। শুধু তাই নয়, ১৯৫৬ সালে সুয়েজ খালের ন্যায্য অধিকারের জন্য মিসরের সঙ্গে ওই সময় ইঙ্গ-ফরাসিদের যে সংঘাত বেধেছিল, তাতে পাকিস্তান সরকার মিসরের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন না জানিয়ে পশ্চিমা শক্তিকেই সমর্থন করেছিল। এসবই ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানী এবং দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের পরিপন্থী। এমতাবস্থায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ তার অঙ্গীকার না মেনে চলায় ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী ও তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা হন এবং দলকে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে পরিণত করেন। শেখ মুজিবের রাজনীতি ছিল ষড়যন্ত্র, ভাঁওতাবাজি এবং ওয়াদা ভঙ্গ করে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। ১৯৬৩ সালে শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার চক্রান্ত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চেও পূর্ব পাকিস্তানের কোটি কোটি অসহায় মানুষকে রেখে শেখ মুজিব আত্মসমর্পণ করে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার শাসনকালে বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। এ সম্পর্কে সম্প্রতি ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় অধ্যাপক হাসানুজ্জামান চৌধুরীর লেখা “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ‘লিনচিং কালচার’ : মুজিব আমল” শিরোনামে একটি তথ্যবহুল কলাম ছাপা হয়েছে।
সবদিক বিবেচনা করলে আওয়ামী লীগ কোনো বিচারেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সামান্যতম বৈশিষ্ট্যও ধারণ করে না। সন্ত্রাসীদের এ দলটি ভারতের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার প্রধান দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে ভারতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। তার এই তৎপরতা শুধু আমাদের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিই নয়, পুরো সংস্কৃতি এবং ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধকে মুছে ফেলে এখানে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটানোর পথ প্রশস্ত করেছিল।
শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার চরিত্রে যথেষ্ট মিল আছে। দুজনেই স্বীকৃত রাষ্ট্রদ্রোহী, মিথ্যাবাদী, ওয়াদা ভঙ্গকারী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ। দুজনই সীমাহীন দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমূহ ক্ষতি করেছেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ইসলামের নামে এই ধর্মের বেশি ক্ষতি করেছেন। এ জন্যই এরা ফ্যাসিস্ট শাসক এবং আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে গণ্য হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিকিয়ে দিয়েছিল। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। দলটির নেতাকর্মীরা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাড়াও সাধারণ মানুষের জমি দখল, খুন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, গুম করা এদের দৈনন্দিন কাজ ছিল। ইসলামের নামে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বহু মানুষ এবং পরিবারকে ধ্বংস করেছে। এদের লোকজন প্রশাসনের সব কাতারে যেমনÑ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার, পুলিশ, আমলা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং বিনোদন জগতের বিবেকহীন সুবিধাভোগীরা আছে, যারা আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অপরাধীদের মতো একইভাবে দোষী।
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অনুচর ফ্যাসিস্টদের থেকেও নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্টকারী, খুনি, ধর্ষক, দেশের সম্পদ পাচারকারী, সব ধরনের কুকর্ম ও দুর্নীতিতে পারদর্শী আওয়ামী লীগের পরজীবী নেতা, সদস্য এবং সর্বস্তরের সমর্থকদের বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ভারতের অনুচর পরজীবী সন্ত্রাসী এবং অর্থলোভী পিশাচদের সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে। এরা ‘গণশত্রু’।
আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তারা ভুল স্বীকার করে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলেন এবং এখনো সক্রিয় আছেন, তারা গণশত্রু। দলের সব নেতা ও সদস্যরা এবং তাদের সমর্থনকারী দোসরদের দেশদ্রোহী, মানুষ খুনসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাদের ফ্যাসিস্ট বলাই শুধু যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সভ্য মানুষের মধ্যে এই গণশত্রুদের বসবাস করার কোনো অধিকারও থাকতে পারে না।
লেখক : সচেতন নাগরিক

একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কতগুলো প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, ভিন্নমতকে সম্মান জানানো, আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, মানবাধিকার মেনে চলা, জবাবদিহি এবং সর্বোপরি নিজের দেশের প্রতি গণতান্ত্রিক দলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে জন্মের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড একটি ফ্যাসিস্ট দলের কাতারেই পড়ে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন, যা পরে আওয়ামী লীগ হয়। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে মওলানা ভাসানী এবং শেরেবাংলা ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত সদস্যরা পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন, যাদের অঙ্গীকার ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও যুক্তফ্রন্ট সরকার অচিরেই ভেঙে যায়। এই বিভাজনের জন্য মূলত শেখ মুজিবুর রহমানই দায়ী ছিলেন। (সূত্র : আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর : পৃষ্ঠা-৪২৬)। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েও পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে উপেক্ষা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক সামরিক চুক্তি করেন। শুধু তাই নয়, ১৯৫৬ সালে সুয়েজ খালের ন্যায্য অধিকারের জন্য মিসরের সঙ্গে ওই সময় ইঙ্গ-ফরাসিদের যে সংঘাত বেধেছিল, তাতে পাকিস্তান সরকার মিসরের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন না জানিয়ে পশ্চিমা শক্তিকেই সমর্থন করেছিল। এসবই ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানী এবং দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের পরিপন্থী। এমতাবস্থায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ তার অঙ্গীকার না মেনে চলায় ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী ও তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা হন এবং দলকে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে পরিণত করেন। শেখ মুজিবের রাজনীতি ছিল ষড়যন্ত্র, ভাঁওতাবাজি এবং ওয়াদা ভঙ্গ করে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। ১৯৬৩ সালে শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার চক্রান্ত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চেও পূর্ব পাকিস্তানের কোটি কোটি অসহায় মানুষকে রেখে শেখ মুজিব আত্মসমর্পণ করে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার শাসনকালে বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। এ সম্পর্কে সম্প্রতি ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় অধ্যাপক হাসানুজ্জামান চৌধুরীর লেখা “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ‘লিনচিং কালচার’ : মুজিব আমল” শিরোনামে একটি তথ্যবহুল কলাম ছাপা হয়েছে।
সবদিক বিবেচনা করলে আওয়ামী লীগ কোনো বিচারেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সামান্যতম বৈশিষ্ট্যও ধারণ করে না। সন্ত্রাসীদের এ দলটি ভারতের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার প্রধান দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে ভারতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। তার এই তৎপরতা শুধু আমাদের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিই নয়, পুরো সংস্কৃতি এবং ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধকে মুছে ফেলে এখানে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটানোর পথ প্রশস্ত করেছিল।
শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার চরিত্রে যথেষ্ট মিল আছে। দুজনেই স্বীকৃত রাষ্ট্রদ্রোহী, মিথ্যাবাদী, ওয়াদা ভঙ্গকারী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ। দুজনই সীমাহীন দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমূহ ক্ষতি করেছেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ইসলামের নামে এই ধর্মের বেশি ক্ষতি করেছেন। এ জন্যই এরা ফ্যাসিস্ট শাসক এবং আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে গণ্য হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিকিয়ে দিয়েছিল। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। দলটির নেতাকর্মীরা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাড়াও সাধারণ মানুষের জমি দখল, খুন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, গুম করা এদের দৈনন্দিন কাজ ছিল। ইসলামের নামে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বহু মানুষ এবং পরিবারকে ধ্বংস করেছে। এদের লোকজন প্রশাসনের সব কাতারে যেমনÑ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার, পুলিশ, আমলা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং বিনোদন জগতের বিবেকহীন সুবিধাভোগীরা আছে, যারা আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অপরাধীদের মতো একইভাবে দোষী।
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অনুচর ফ্যাসিস্টদের থেকেও নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্টকারী, খুনি, ধর্ষক, দেশের সম্পদ পাচারকারী, সব ধরনের কুকর্ম ও দুর্নীতিতে পারদর্শী আওয়ামী লীগের পরজীবী নেতা, সদস্য এবং সর্বস্তরের সমর্থকদের বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ভারতের অনুচর পরজীবী সন্ত্রাসী এবং অর্থলোভী পিশাচদের সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে। এরা ‘গণশত্রু’।
আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তারা ভুল স্বীকার করে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলেন এবং এখনো সক্রিয় আছেন, তারা গণশত্রু। দলের সব নেতা ও সদস্যরা এবং তাদের সমর্থনকারী দোসরদের দেশদ্রোহী, মানুষ খুনসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাদের ফ্যাসিস্ট বলাই শুধু যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সভ্য মানুষের মধ্যে এই গণশত্রুদের বসবাস করার কোনো অধিকারও থাকতে পারে না।
লেখক : সচেতন নাগরিক

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে কাজ করছে ‘প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার আহ্বায়ক ইউকে ইমিগ্রেশন ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক। তার নেতৃত্বে গঠিত সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তিকেও রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
‘নিরপেক্ষতা’ আর নিরপেক্ষ নেই। এর পক্ষ-বিপক্ষ সৃষ্টি হয়েছে। ডালপালা, শাখা-প্রশাখা গজিয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিরপেক্ষ শব্দটি একটি কূটাভাস। কূটাভাস শব্দটিও পরিচিত নয়। সে জন্য আরো বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (মাগা) বা যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান করার স্লোগান তার নির্বাচনি প্রচারণায় একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল। রিপাবলিকান পার্টির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশটির শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণির লোকজনকেও ট্রাম্পের এই রাজনৈতিক স্লোগান যথেষ্ট উজ্জীবিত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে প্রায়ই দেখা যায়, প্রগতিশীল রাজনীতি হিসেবে নিজেদের দাবি করা বামপন্থি রাজনীতিবিদ ও দলগুলো জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যুতে নানা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসে, সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সর্বজনীন মানবাধিকার এবং এ ধরনের ইস্যুতে সরব হয়।
২ ঘণ্টা আগে