অংশীদারিত্ব ছাড়া সংস্কার অর্থহীন: স্বপন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৯: ৪৯

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নিপীড়ন, বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে জনগণের গর্জন। এটি কেবল রাজনৈতিক বিক্ষোভ নয়, বরং ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রদর্শনের ভিত্তি স্থাপন। ছাত্র-জনতা, শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী মানুষগুলো রাস্তায় নেমেছিল এই বার্তা নিয়ে— এই রাষ্ট্র কেবল কতিপয় মানুষের জন্য নয়, বরং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

স্বপন বলেন, জেএসডি’র মূল দর্শনই হচ্ছে— অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র। অর্থাৎ, কেবল রাজনৈতিক দলের নয়, সমাজের বিভিন্ন শক্তিরও সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায় অংশগ্রহণ। বর্তমান সংসদ ব্যবস্থা ‘নিম্নকক্ষ’ ভিত্তিক। এতে আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব থাকলেও পেশাভিত্তিক বা সামাজিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব নেই। যে কারণে সাংবাদিক, কৃষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, নার্স, পরিবহনকর্মী, শিক্ষক কিংবা কৃষক—তাঁদের অভিজ্ঞতা বা মতামতের কোনো সাংবিধানিক মূল্য নেই।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সেই কাঠামোগত সংকটকেই সামনে এনেছে— এখানে কারো কারো প্রতিনিধি আছে, অনেকেরই প্রতিনিধিত্ব নেই; নির্বাচন আছে, কিন্তু অংশীদারিত্ব নেই।

সভাপতির ভাষণে তানিয়া রব বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ হবে ২০০ সদস্যের, যা গঠিত হবে—

* শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্বে;

* নারী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও প্রবাসীদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি;

* রাষ্ট্রপতির মনোনীত (প্রতিরক্ষা, পুলিশ, প্রশাসন);

* প্রাদেশিক প্রতিনিধিত্ব;

* রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী সামান্য সদস্য।

এই সদস্যরা নির্বাচিত হবেন ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে, যার ভিত্তি হবে বিভিন্ন সামাজিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব। মেয়াদ হবে ৪ বছর, এবং প্রতি ২ বছর অন্তর এক-তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়:

জেএসডি
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত