বিভিন্ন অপরাধে সাজা শেষে ২২ বাংলাদেশিসহ ৫০ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। ২২ বাংলাদেশি ছাড়াও ভিয়েতনামের ৯, ইন্দোনেশিয়ার ৯, পাকিস্তানের ৬, ভারতীয় ২ ও চীনা ২ নাগরিক রয়েছেন।
লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে আটকেপড়া আরো ১৬৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইট যোগে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। শুক্রবার এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসকারী এক হাজারের মতো বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে দেশটির সরকার। এক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারও ইতিবাচক।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে অনুসরণ করছে ব্রিটেন সরকার। নিজ দেশে অবস্থানকারী অবৈধ অভিবাসী বিশেষ করে ভারতীয় শ্রমিকদের বিতাড়িত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে লেবার সরকার।
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসী বাড়ছে। কিন্তু অধিকাংশই সেখানে গিয়ে অবৈধ উপায়ে থেকে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এই প্রবণতা বেশি মাদারীপুর, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে।
ফ্রান্সে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিতকরণের অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ‘সার্কুলার ভালস’। ২০১২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস এই পদ্ধতি চালু করেছিলেন। নতুন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়ো নতুন সার্কুলার জারি করার মধ্যদিয়ে পূর্বের সারকুলারটি বাতিল করে দিলেন।
এ বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ জন পুরুষ এবং নারী কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশে গেছেন। তবে ২০২৩ সালে অভিবাসী পুরুষ এবং নারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসী রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে।